রূপনারায়ণের জল ঢুকে নষ্ট জমির ফসল, দিশেহারা চাষিরা

  • ভারী বৃষ্টির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছে রূপনারায়ণ নদী
  • নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা
  • জমিতে থাকা ধান, পাট জলের তলায়  
  • বড়সড় ক্ষতি হওয়ায় সরকারী সাহায্য় দাবি চাষিদের 
     

Asianet News Bangla | Published : Aug 22, 2020 11:39 AM IST / Updated: Aug 22 2020, 05:12 PM IST

সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: আমফান, করোনা আগেই আধমরা করেছিল চাষিদের। বর্ষার সময় জমির ফসল তুলে কিছুটা আর্থিক সুরাহা করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, গত দুদিনের টানা বৃষ্টির জেরে সেই আশাও জলে মিশে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারনে বেড়েছে রূপনারায়ণ নদীর জল। তার ফলে নদীর জল ঢুকে যায় পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে। হাওড়ার জয়পুর থানার বেশ কয়েটি গ্রামে জল ঢুকে দুর্দশার সীমা নেই গ্রামবাসীদের।

ভাটোরা, ঘোড়াবেড়িয়া, চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। চাষিদের দাবি, জমিতে থাকা, ধান, পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝণ নিয়ে চাষ করতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু নদীর জল ঢুকে চাষের ক্ষতি হওয়ায় কী করবেন, কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। এবছর নদীর জলে যে পরিমাণ চাষের ক্ষতি হয়েছে, সরকারি সাহায্য ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

শনিবার সকালে নদীর জলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান, আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল। তিনি জানান, রূপনারায়ণের জলস্ফীতির কারনে দ্বীপাঞ্চলের নীচু এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার ফলে ধান,পাট, সবজি সাছের পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষেও। সব বিষয় খতিয়ে দেখে সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি।

অন্যদিকে, রূপনারায়ণ ও দামোদর নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে শ্য়ামপুর থানার নবগ্রাম ও বানেশ্বরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষতি হয়েছে সবজি ও ধান চাষে। 

Share this article
click me!