Independence Day: স্বাধীনতার যুদ্ধে ভারতের ৮ মহিলা, যাদের অবদান আজও ভোলার নয়
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রচুর মানুষের সক্রিয় যোগদান দিল। সেই সময় অনেক মহিলা সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যাদের অবদান আজও ভোলার নয়। স্বাধীনতার দিবসের প্রাককালে আসুন দেখেনি ভারতের স্বাধীনতার যুদ্ধে আট মহিলার অবদান।
Saborni Mitra | Published : Aug 6, 2023 3:33 PM IST / Updated: Aug 06 2023, 09:22 PM IST
সরজিনী নাইডু
ভারতের নাইট-অ্য়াঙ্গেল তিনি। একজন কবি, সেনানি আর সুবক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯২৫ সালে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেন। ভারত ছাড় আর খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল তাঁর।
ম্যাডাম ভিকাজি কামা
১৯০৭ সালে জার্মানিতে আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে প্রথম ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
বেগম হযরত মহল
আওধের বেগম নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। ভারতের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ অর্থাৎ সিপাহী বিদ্রোহে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নানা সাহেব, তাঁতিয়া টোপিদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর নামে ভারত সরকার ১৯৮৪ সালে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
অরুণা আসাফ আলি
লবণ সত্যাগ্রহের সময় অরুণা ছিলেন প্রথম সারিতে। তিনি কংগ্রেস পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মাসিক পত্রিকা ইন কিলাব-এর সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতার যুদ্ধে তাঁকে গ্রান্ড ওল্ড লেডি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তৎকালীন বোম্বেতে জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।
অ্যানি বেসান্ত
জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। রাজনীতি আর শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। আয়ারল্যান্ডের বিশিষ্ট থিওসফিক্যাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন। কংগ্রেসের প্রথম মহিলা সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। ১৯১৬ সালে হোমরুল আন্দোলেনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি নিউ ইন্ডিয়া সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠাতা। বেনারস হিন্দু কলেদ হাইস্কুল সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
কস্তুরবা গান্ধী
বিহারের চম্পারণে নীল কর্মীদের সঙ্গে নো-ট্যাক্স ক্যাম্পেইন, রাজকোটে সত্যাগ্রহে যোগ দিয়েছিলেন। যেকোনও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলেনে সামনের সারিতে ছিলেন তিনি। মহিলা সত্যাগ্রহ নেত্রী হিসেবেই তাঁর পরিচিতি ছিল।
কমলা নেহেরু
জওহরলাল নেহরুর স্ত্রী কমলা নেহরু স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি প্যারেড, পিকেট মদ এবং বিদেশী পোশাকের দোকানের বাইরে বয়কট আন্দোলন সংগঠিত করতে এবং ইউনাইটেড প্রভিন্স নো ট্যাক্স ক্যাম্পেইন সংগঠিত করতে সহায়তা করেছিলেন।
বিজয়ালক্ষ্মী পণ্ডিত
কংগ্রেস পার্টির সভাপতি মতিলাল নেহেরুর কন্যা ছিলেন। ব্রিটিশরাজকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ১৯৪০-৪২ সাল পর্যন্ত কারাবরণ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর একাধিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন।