শুক্রবার ভারতে উদযাপিত হচ্ছে সেনা দিবস
সেনাদের বীরত্বকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি স্মরণ করা হচ্ছে শহিদদের
২০২০ সালে আত্মবলিদান দিয়েছেন ১০০ জন সেনা সদস্য
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গালওয়ান সংঘর্ষে নিহত ২০ জনও
২০২০ সালে দেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মোট ১০০ জন সেনা জওয়ান সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, অর্থাৎ, মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার, ৭৩তম সেনা দিবসের দিন এই তথ্য জানালো ভারতীয় সেনা। সেনার পক্ষ থেকে এদিন এই ১০০ জন বীর শহিদদের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
এই শহিদদের মধ্যে রয়েছেন, গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় নিযুক্ত কমান্ডিং অফিসার-সহ সুবেদার, হাবিলদার ও সিপাহী মিলিয়ে শহিদ হওয়া ২০ জনও। রাতের অন্ধকারে চিনা সেনাদের সঙ্গে মুখোমুখি হিংসাত্মক সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন তাঁরা। আলোচনায় উভয় পক্ষই সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হলেও, কমান্ডিং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু দেখেছিলেন, চিনা সেনারা তা মানছে না। সেই বিষয়ে একটি দল নিয়ে চিনা পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকেই ঘটেছিল সংঘাতের সূত্রপাত। যা, সারা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল।
কমান্ডিং অফিসার সন্তোষ বাবুর কফিনবন্দি দেহ
বাকি নিহত জওয়ানদের বেশিরভাগই, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়ে কিংবা সন্ত্রাসবাদী হামলায় এবং দেশের অভ্যন্তরে মাওবাদী মোকাবিলায় প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। শুক্রবার, বাহিনীর সকল সদস্য ও ভারতের প্রতিটি মানুষ, এই বীর শহিদদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
১৯৪৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী গঠনের পর ১৫ জানুয়ারি তারিখেই বাহিনীর প্রথম কমান্ডার-ইন-চিফের পদ গ্রহণ করেছিলেন ভারতের প্রথম সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল কে এম কারিয়াপ্পা। সেই থেকেই প্রতি বছর এই দিনটিকে সেনা দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়। ব্যতিক্রমী সাহস ও কর্তব্য নিষ্টার পরিচয় দেওয়া সেনা অফিসার ও কর্মীদের সেনা পদক ও অন্যান্য পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সেইসঙ্গে দেশকে সুরক্ষা দিতে গিয়ে আত্মবলিদান দেওয়া সেনা সদস্যদের স্মরণ করা হয়।