এর আগে প্রত্যেক বছরই দেশের নিপীড়িত, শোষিত মানুষদের হয়ে শাসকদলের বিরোধিতা করার জন্য স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই গ্রামগুলিতে ওড়ানো হত কালো পতাকা।
মাওবাদীদের আধিপত্য ছড়িয়ে রয়েছে ছত্তিসগঢ়ের বস্তার জেলার আনাচেকানাচে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ৭৭ বছর পার হয়ে গেলেও এই জেলাকে, সর্বোপরি এই রাজ্যকে মাওবাদী মুক্ত করা যায়নি। এই ব্যর্থতার ওপরেও কড়াঘাত করছিল দেশের সাথে একযোগে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে না পাওয়ার বিফলতা। সেই বিফলতার গ্লানি ঘুচে গেল প্রায় ৮ দশক পর। ১৫ অগাস্ট এলেও বছরের বাকি সব দিনের মতোই মলিন হয়ে থাকে ছত্তিসগঢ়ের বস্তার জেলার বহু গ্রাম। বিশেষ করে ৬টি গ্রামে এর আগে কোনওদিনই ওড়েনি ভারতের তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা। ২০২৩ সালের ১৫ অগাস্ট দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে দেখা গেল অন্য ছবি। সগর্বে জাতীয় পতাকা উড়ল মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তারে।
একদিকে বিজাপুর জেলার চিন্নাগেলুর, তিমেনার এবং হিরোলি, আরেকদিকে সুকমা জেলার বেদরে, ডুব্বামারকা এবং টোন্ডামারকা, ছত্তিসগঢ়ের এই ৬টি গ্রামে এর আগে কোনওদিনই ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়েনি। তার পাশাপাশি, সুকমা জেলার পিডামেল, ডুব্বাকোনটা, সিলগের এবং কুন্দেদ গ্রামে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন হলেও দেশের স্বাধীনতা দিবস কোনওদিনই পালিত হয়নি। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে প্রায় ১০টি গ্রামে এবছর প্রথমবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ছে।
তবে, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় এই উদ্যোগ মোটেই সহজ ব্যাপার না। যেকোনও সময় পালটা উড়তে পারে কালো পতাকা, হতে পারে বড়সড় হামলার ঘটনাও। এর আগে প্রত্যেক বছরই দেশের নিপীড়িত, শোষিত মানুষদের হয়ে শাসকদলের বিরোধিতা করার জন্য স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই গ্রামগুলিতে ওড়ানো হত কালো পতাকা। ২০২৩ সালে সব অশান্তি প্রতিহত করতে ব্যাপক কড়া প্রহরা রাখতে হয়েছে পুলিশ বাহিনীকে। প্রত্যেকটি গ্রামের কাছাকাছি জায়গায় পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। বামপন্থী পন্থায় চালিত এই রাজনৈতিক সংগঠনটি বারবার গ্রামের মানুষদের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে, সেই অভিযোগ খারিজ করতে এবার এই পুলিশ-ক্যাম্পগুলি থেকে গ্রামের মানুষজনকে বিবিধ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন-
Mamata Banerjee: রেড রোডে জাতীয় পতাকা তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাধীনতা দিবসের সকালে মুখর শহর কলকাতা
রাজ্য সরকারি জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পরিকল্পনা
Chennai News: চেন্নাইতে বিশাল আকারে লিঙ্গবৈষম্য! স্বাধীনতা দিবসেও একা মহিলাদের থাকার জায়গার অভাব