দিল্লিতে সিএএ সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২
প্রথমে পাওয়া গিয়েছিল এক হেড কনস্টেবল-এর মত্যুসংবাদ
পরে আরও এক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল
দিল্লিতে মোতায়েন করা হল আধাসেনা-ও
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শহরে পা রাখার দিনই ফের সিএএ আইন-কে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে আগুন জ্বলে উঠল রাজধানীতে। বিকেলে জানা গিয়েছিল, মৃত্যু হয়েছে দিল্লি পুলিশের এক হেড কনস্টেবল রতন লাল-এর। পরে জানা গেল, সেই সঙ্গে এক নাগরিক-এরও মৃত্যু হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিল্লিতে মোতায়েন করা হল আধাসেনা।
গতকালই, উত্তর-পূর্ব দিল্লি-তে সিএএ বিরোধীরা দীর্ঘদিনের অবরোধ তুলে রাস্তা খালি করে দেওয়ার পর থেকেই সিএএ-বিরোধী ও সিএএ-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধেছে। সোমবার বিকেলে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। ভজনপুরা-য় এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের সময় একজন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। তার আগে জাফরাবাদ ও মৌজপুর এলাকার কাছে গোকুলপুরীতে একই ধরণের সংঘর্ষের দিল্লির পুলিশ হেড কনস্টেবল রতন লাল প্রাণ হারান। রতন লাল রাজস্থানের সিকার জেলার বাসিন্দা। ১৯৮৮ সালে তিনি দিল্লি পুলিশে কনস্টেবল হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। গোকলপুরীর এসিপি-র কার্যালয়ে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
জাফরাবাদ ও মৌজপুরার ঘটনায় দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। দেদার ইঁট-পাথর ছোড়াছুড়ি হয় বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে গুলি চালাতেও দেখা যায়। এই ঘটনায় অন্তত ২০ জনেরও বেশি লোক গুরুতর জখম হয়েছে। তাঁদের গুরু তেজবাহাদুর হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট শহরে থাকাকালীনই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। এতে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মানুষকে সংষত থাকার ও হিংসা থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র-ও।
দিনভর দিল্লি উত্তর-পূর্ব জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে হিংসতাত্মক ঘটনা ঘটার পর খাজুরি খাস এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর নামানো হয়েছে। রাস্তায় দেখা গিয়েছে বজ্র সাঁজোয়া গাড়ি-কেও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতেই দিল্লিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।