২০১৬ সালের ৮ ই নভেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ঘোষণায় জানিয়েছিলেন মধ্যরাত থেকে বাজারে চালু ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল করা হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান, দুর্নীতি ও কালো ধন উদ্ধার ও দাল নোটের কারবার বন্ধের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিন বছর পর বর্তমানে মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। আর ভারতীয়রা অধিকাংশই এর জন্য দায়ী করছেন নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকেই। বলছেন, বিমুদ্রাকরণের নেচিবাচক প্রভাব পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতে।
আরও পড়ুন - আড়ালে তৈরি খসড়া, ফের হতে পারে বিমুদ্রাকরণের মতো বড় ঘোষণা, নোটের পর মোদীর নিশানায় কে
লোকালসাইক্লস নামে এক অনলাইন সমীক্ষা সংস্থার সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৬৬ শতাংশই বলছেনশুধু অর্থনীতি নয়, কর্মসংস্থানের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিমুদ্রাকরণের। মাত্র ২৮ শতাংশ বলেছেন, নোটবাতিলের কোনও নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়েনি। ৩৩ শতাংশ মানুষ বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার বিমুদ্রাকরণকেই দোষ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন - কথা রাখলেন মোদী, সুইস ব্যাঙ্ক থেকে এল কালো ধনের তথ্য, কাদের নাম বের হবে
তাঁরা দেখিয়েছেন নোট বাতিলের ঘোষণার আগে ভারতীয় অর্থনীতির দারুণ ভাবে বৃদ্ধি ঘটছিল। কিন্তু পরের অর্থনৈতিক কোয়ার্টারেই অর্থনীতি নিম্নগামী হয়। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে কিছু সময়ের জন্য সামান্য উন্নতি করলেও ফের পা পিছলোয় ভারতীয় অর্থনীতি। গত পাঁচটি কোয়ার্টার ধরে সমানে হ্রাস পাচ্ছে জিডিপি বৃদ্ধির হার।
আরো পড়ুন - নোটবাতিলের পর একবছরেই দ্বিগুণ হয়েছে জাল নোট, শীর্ষে কোন রাজ্য জানলে অবাক হবেন
তবে অর্থনৈতিক মন্দার জন্য একমাত্র বিমুদ্রাকরণই দায়ী নয়। অর্থনীতিবিদদের মতে, নোট বাতিলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্র। যার ফলে বেকারত্ব বেড়েছে। এর ফলেই ভারতীয় অর্থনীতি এক নিম্নগামী ঘুর্ণিপাকে পরেছে।
তবে নোটবাতিলের ফলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবাব পড়েচে এমন মতও উঠে এসেছে সমীক্ষায়। এই মতের শরিক যারা তাদের ৪২ শতাংশের মতে এই পদক্ষেপে কর ফাঁকি দেওয়া অনেকটাই বন্ধ করা গিয়েছে।