ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের বড়সড় মূল্য চোকাতে হচ্ছে চিনকে। আগেই সেদেশের ওপর হয়েছে ডিজিট্যাল স্ট্রাইক। চিনা সংস্থাগুলিকে আর্থিক ধাক্কা দিয়ে সেদেশ থেকে আমদানির পরিমাণ একধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে ফেলেছে ভারত। বেজিংয়ের আবগারি দফতর থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বলছে, এবছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতে চিনা পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। যার জেরে হাজার হাজার কোটি লোকসান হচ্ছে চিনা সংস্থাগুলির।
চিনকে ভাতে মারার কাজে যে ভারত সফল তার প্রমাণ দিচ্ছে পরিসংখ্যান, এক বছরে এদেশে আমদানি কমায় এখনও পর্যন্ত চিনের ক্ষতি হয়েছে ৩২.২৮ বিলিয়ন ডলার। চিনের আবগারি দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে চিনা পণ্য আমদানির পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কমেছে প্রায় ২৪.৭ শতাংশ। এবছর এখনও পর্যন্ত চিন থেকে ভারত ৩২.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। পালটা চিনও ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমানোর চেষ্টা করেছে। তাতে অবশ্য খুব একটা সাফল্য তারা পায়নি। ভারত থেকে চিনে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ কমেছে ৬.৭ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে এবছর চিনের সঙ্গে ভারতের লেনদেন কমেছে ১৮.৬ শতাংশ। আর এর বেশিরভাগটাই আমদানি। যা চিনা অর্থনীতিকে বড়সড় ধাক্কা দেবে তা বলাই বাহুল্য। সরকার চেষ্টা করছে, এখন থেকে চিনা পণ্যের আমদানি আরও খানিকটা কমিয়ে দিতে। সেজন্য বেশ কিছু পণ্য বাছাই করা হচ্ছে, যেগুলি যতটা সম্ভব আমদানি কমাতে চায় কেন্দ্র।
চিন থেকে মোট ৩২৭ রকমের পণ্য এদেশে রফতানি হয়ে থাকে। তার মধ্যে সিংহভাগ রয়েছে মোবাইল ফোন, টেকিকম ইকুইপমেন্ট, ক্যামেরা, সোলার প্যানেল, এয়ার কন্ডিশন, পেনিসিলিন। এই সব পণ্যের তিন চতুর্থাংশই ভারতে উৎপাদন সম্ভব।
আরও পড়ুন: উহানে ৯০ শতাংশ করোনা জয়ী এখন ভুগছেন ফুসফুসের সমস্যায়, নিত্যসঙ্গী অক্সিজেন মেশিন
এদিকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আগেই আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলেছেন। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছেন, সরকার দেশিয় শিল্পকে বিশেষত ক্ষুদ্র শিল্পকে উৎসাহিত করতে খতিয়ে দেখছে আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানোর দিকটা। সি আই আই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, দাম কমাতে হলে উৎপাদন বাড়াতে হবে যাতে চিনের সঙ্গে টক্কর দেওয়া যায়। আর সেই কারণেই ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ভারতীয় উৎপাদনকারীদের উৎসাহিত করা।