গত তিনদিনে কোভিড আক্রান্ত ৫৭৫ শিক্ষার্থী ও ৮২২ জন শিক্ষক, স্কুল খুলতেই বাড়ছে বিপদ

Published : Nov 06, 2020, 09:23 AM IST
গত তিনদিনে কোভিড আক্রান্ত ৫৭৫ শিক্ষার্থী ও ৮২২ জন শিক্ষক, স্কুল খুলতেই বাড়ছে বিপদ

সংক্ষিপ্ত

২ নভেম্বর থেকে খুলেছে স্কুল ক্লাস চালু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনির তাতেই কোভিড আক্রান্ত ৫৭৫ জন শিক্ষার্থী এবং ৮২২ জন শিক্ষক নিচু ক্লাসের পড়া চালু কি করা যাবে, চিন্তায় অন্ধ্র সরকার  

স্কুল খুলেছে মাত্র তিনদিন হয়েছে। তাও চালু হয়েছে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনির পঠনপাঠন। উপস্থিতি অর্ধেকেরও কম। তাতেই গত তিনদিনে অন্ধ্রপ্রদেশে অন্তত ৫৭৫ জন শিক্ষার্থী এবং ৮২২ জন শিক্ষক কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয়  সরকারের নির্দেশিকা মেনে গত ২ নভেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ফের চালু করা হয়েছিল এই রাজ্যে। অন্ধ্রের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে , রাজ্যে নবম ও দশম শ্রেণির নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯.৭৫ লক্ষ। গত তিনদিনে তার মধ্যে স্কুলে এসেছে গড়ে মাত্র ৩.৯৯ লক্ষ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল ৪০ শতাংশের কিছু বেশি। আর ১.১১ লক্ষ শিক্ষকের মধ্যে স্কুলে এসেছেন ৯৯,০০০ এর কিছু বেশি। তার মধ্য থেকেই অন্তত ৫৭৫ জন শিক্ষার্থী এবং ৮২৯ জন শিক্ষকের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছে।

এই অবস্থায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আদিমুলাপু সুরেশ আশ্বাস দিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় চালু করার পরে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বিপুল হারে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকারি স্কুলগুলিতে করোনা রুখতে প্রথম থেকেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রেও কোভিড নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

২ নভেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনির পঠনপাঠন চালু হলেও, স্কুল খোলা থাকছে অর্ধদিবস। আর শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে হচ্ছে সপ্তাহে ৩দিন। আগে জানানো হয়েছিল এরপর ২৩ নভেম্বর থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেনির ক্লাস শুরু হবে এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেনির পঠন পাঠছন শুরু করা হবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিন সপ্তাহ পরে নবম, থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হওয়ায় পর কোভিড সংক্রমণ কতটা বাড়ল তা পর্যালোচনা করা হবে এবং তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গোটা ভারতেই স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে অভিভাবকদের একাংশ অনিচ্ছুক ছিলেন। তাদের দাবি ছিল, ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত বন্ধই রাখা হোক স্কুল, ক্লাস চলুক অনলাইনে। কিন্তু, অন্ধ্র সরকার জানিয়েছে, এই বিষয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে না পারার কারণে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি স্কুলে যাওয়া বন্ধ থাকলে উপজাতি ও গ্রামাঞ্চলের ছাত্রীদের জীবনে বাল্যবিবাহের বিপদ নেমে আসতে পারে। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মনে আর্থিক, কর্মজীবনমুখী এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। এই সমস্ত কারণেই স্কুল খোলাটা জরুরী।

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি