ভাগবতের ডিএনএ তত্ত্বকে আরও একবার প্রাসঙ্গিক করে তুললেন সংঘের আরও এক নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। তিনি বললেন,৯৯ শতাংশ ভারতীয় হিন্দুস্তানি । নিজের মত করে ব্যাখ্যা দিলেন ডিএনএ-র।
মোহন ভাগবতের সুরেই কথা বললেন আরও এক রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের নেতা। পাশাপাশি আবার নতুন করে আলোচনায় তুলে আনলেন ভাগবতের ডিএনএ তত্ত্বকে। রবিবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা ইন্দ্রেশ কুমার এবার বলেছেন যে ভারতের ৯৯ শতাংশ মুসলমানই হিন্দুস্তানি। তাদের পূর্বপুরুষ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর মাতৃভূমির কারণে তাঁরা হিন্দুস্তানি। পাশাপাশি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত আগে যে মত প্রকাশ করেছিলেন তাতেই পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। কারণ মোহন ভাগবত বলেছিলেন, সব ভারতীয়র ডিএনএ এক। আর সধারণ।
ইন্দ্রেশ কুমার থানে জেলার উত্তানে রামভাউ মাগ্নী প্রবোধনীতে আরএসএস-এর মুসলিম শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের কর্মীদের দুই দিনের রাজ্যস্তের কর্মশালায় সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েদেন সব মুসলিমই ভারতীয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই পবিত্র কোরানের নির্দেশ ও নীতি অনুসারে অন্যান্য জাতির প্রতি শ্রদ্ধা আর সর্বোত্তোম কর্তব্য করতে হবে। এই দুটিকে অন্য সবকিছুর ওপর স্থান দিতে হবে। ' তারপরই তিনি বলেন, ভারতের ৯৯ শতাংশ মুসলমানই তাদের পূর্বপুরুষ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মাতৃভূমির কারণে হিন্দুস্তানি।
ইন্দ্রেশ কুমার মোহন ভাগবতের ডিএনএ প্রসঙ্গে টেনে এনে বলেন, হিসেব অনুযায়ী ভারতীয়দের সাধারণে একই ডিএনএ হওয়ার কথা। তিনি নিজের মত করে ডিএনএ-র ব্যাখ্যও দিয়েছেন। বলেছেন ডি - মানে ড্রিম। আমরা প্রতিদিন হিন্দু ও মুসলিম নির্বিশেষে একই স্বপ্ন দেখি। এন মানে - নেশন অর্থাৎ জাতি। স্থানীয় মানুষ সকলেই এক। আর এ অর্থাৎ অ্যানসেস্টর অর্থাৎ পূর্ব পুরুষ। আমাদের পূর্ব পুরুষও এক। আর সেই সূত্র ধরেই সকল ভারতীয় একই।
ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ৯৯ শতাংশ ভারতীয়ের পূর্ব পুরুষ এক। জাতিগত দিক থেকে একই এলাকার মানুষ অভিন্ন হয়ে থাকেন। আর সেই কারণে আমাদের স্বপ্নগুলিও এক।
মহিলা কর্মী সহ রাজ্য জুড়ে ৪০ টিরও বেশি স্থান থেকে মোট ২৫০ কর্মী কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে এমআরএম জাতীয় আহ্বায়ক ইরফান আলী পীরজাদে, বিরাগ পাচপোরসহ সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পাচপোর ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে MRM-এর দুই-দশক-দীর্ঘ যাত্রার সন্ধান করেছে এবং তিন তালাক, জম্মু ও কাশ্মীর, অযোধ্যা, গোহত্যা, সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদির মতো বিষয়ে এর কার্যক্রম, কর্মসূচি এবং প্রচারণার কথা বলেছে।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের আমির-ফতেমার প্রেম কাহিনি, মনে করিয়ে দিল দিলওয়ালে দুলহনিয়ার রাজ আর সিমরানকে
অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে, দাবি IICF ট্রাস্টের