রবিবার রাতে কর্নাটকের মহীশূরে রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রোড শো চলাকালীন তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে একটি মোবাইল ফোন। ঘটনায় গুরুতরভাবে আঘাত লাগতে পারত প্রধানমন্ত্রীর।
ফের নিরাপত্তা বলয় ভাঙল মোদীর। নির্বাচনের আবহে কর্নাটকের রো শো তে উড়ে এল মোবাইল ফোন। একটুর জন্য আঘাত লাগেনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর। ঘটনাকে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় জাতীয় রাজনীতিতে। রবিবার রাতের এই ঘটনায় স্তম্ভিত পদ্ম শিবির। জানা যাচ্ছে, রবিবার রাতে কর্নাটকের মহীশূরে রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রোড শো চলাকালীন তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে একটি মোবাইল ফোন। ঘটনায় গুরুতরভাবে আঘাত লাগতে পারত প্রধানমন্ত্রীর। তবে একটুর জন্য তাঁর গা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় ফোনটি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি মোবাইল ফোনটি প্রধানমন্ত্রীর রোড শো-র গাড়ির বনেটের উপর পড়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তারক্ষীরা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল প্রটেকশান গ্রুপ বা SPG ফোনটি সরিয়ে দেয়। তবে এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা। ঘটনার তদন্তে নেমে এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে চিহ্নিত করে স্থানীয় পুলিশ।
কর্নাটকের অতিরিক্ত ডিজি অলোক কুমার অবশ্য জানিয়েছেন,'প্রধানমন্ত্রীকে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ওই মহিলা বিজেপি কর্মী। সেই কারণেই গাড়ি লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ছুড়ে দেন তিনি।' কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হয়নি বলেও দাবি করে কর্নাটক পুলিশ। পরে তাঁকে মোবাইল ফোন ফিরিয়েও দেয় SPG বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো দক্ষিণের এই রাজ্যে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বিজেপির প্রচার কর্মসূচিকে আরও জোড়দার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র কর্ণাটকেই নিজেদের গড় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ফলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কোনও রকমের খামতি রাখতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। এবার নির্বাচনের মেগা প্রচারের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল কর্ণাটকে পৌঁছচ্ছেন মোদী। এপ্রিলের ২৬ তারিখ থেকেই ভোটের প্রচারে একের পর এক কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে পদ্ম শিবিরের।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল এবং ২৯ এপ্রিল দুটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মে মাসের ৫ ও ৭ তারিখ নির্বাচনের প্রচারে মিছিল বেরোবে কর্নাটকে। ইউনিয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ থেকে মে মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত মোট আটটি মিছিলের পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
অন্যদিকে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে জেডিএসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, ভারত রাষ্ট্র সমিতি ও সিপিএম। জেডিএস প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকেও প্রচারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারে জেডিএস। কারণ, ইতিমধ্যেই সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে এইচ ডি দেবেগৌড়া, এইচ ডি কুমারস্বামীর দল। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে ৩টি আসন ছেড়েছে জেডিএস। সেই কারণেই ভোট প্রচারে বিজয়নকে ডাকার কথা ভাবছে জেডিএস। ফলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরোধিতা থাকলেও, কর্ণাটকে বিজেপি-বিরোধিতায় একজোট এই দুই পরস্পর-বিরোধী রাজনৈতিক দল।
আরও পড়ুন -
'কগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, তাই প্রতিশ্রুতির দাম নেই', এশিয়ানেট নিউজের মুখোমুখি অকপট অমিত শাহ