নির্দেশিকা জারির আগেই গুজরাতের সংস্থা তুলে নিয়েছিল কোটি কোটি টাকা, জগন্নাথের ৫০০ কোটি আটকে

  • ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে তোলা হয়েছিল ২৬৫ কোটি টাকা
  • বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারির আগেই তোলা হয়েছিল টাকা
  • টাকা তুলেছিল ভাদোদরা স্মার্ট সিটি ডেভলপমেন্ট কোম্পানি
  • পুরীর মন্দিরের ৫০০ কোটি টাকা আটকে ব্যাঙ্কে  

Asianet News Bangla | Published : Mar 7, 2020 11:31 AM IST

আবারও বিতর্ক তৈরি করল গুজরাটের একটি সংস্থা। নিজেদের গচ্ছিত টাকা তুলতে না পেরে যখন যখন চিন্তায় ঘুম ছুটেছে ইয়েস ব্যাঙ্কের লক্ষ লক্ষ গ্রহকের তখনই জানা গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা জারি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই গুজরাতের একটি সংস্থা ইয়েস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সমস্ত টাকা তুলে নিয়েছে। টাকার পরিমাণও বিশাল অঙ্কের। রাতারাতি তুলে নেওয়া হয়েছিল ২৬৫ কোটি টাকা। আর টাকা তুলে তা রাখা জন্য সেই দিনই স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কে খোলা হয়েছিল নতুন একটি অ্যাকাউন্ট। কিন্তু কেন একসঙ্গে সব টাকা তোলা হয়েছিল? গুজরাতের ওই সংস্থা কী করে জানতে পারল ভরাডুবি হতে চলেছে ইয়েস ব্যাঙ্কের ? তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। 

আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় করমর্দন নয়, নমস্কার করুন, পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

ভাদোদরা স্মার্ট সিটি ডেভলপমেন্ট কোম্পানি যৌথ উদ্যোগে কাজ করে ভাদোদরা পুরসভার সঙ্গে। একাধিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্প চালায় এই সংস্থা। কেন্দ্রের থেকে পাওয়া অনুদানের সব টাকাই  ইয়েস ব্যাঙ্কের স্থানীয় একটি শাখায় গচ্ছিত রেখেছিল। আচমকাই বুধবার টাকা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে সমস্ত টাকা তুলে নেওয়া হয়। আর সেই টাকা রাখার জন্য নতুন একটি অ্যাকাউন্টও খোলা হয়। ভাদোদরা পুরসভার উপ পুরকমিশনার সুধীর প্যাটেল শনিবার এই কথা জানিয়েছেন। বুধবার টাকা তোলার পরই বৃহস্পতিবার আরবিআই ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করে। জানান হয় টাকা তোলার  উর্দ্ধসীমা ৫০,০০০ টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের উদ্বেগ থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের ঘোষণা, দেখুন ১০টি তথ্য

একই ঘটনা ঘটেছে তিরুপতির ক্ষেত্রেও। তিরুমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে যেসব ব্যাঙ্কের মন্দিরের সম্পত্তি রাখা হয় তাদের রিপোর্ট পর্যালোচানা করা হয়েছিল। সেই সময়ই ইয়েস ব্যাঙ্কের ভরাডুবি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। তাই ইয়েস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ১৩০০ কোটি টাকা আগেভাগেই তুলে নিয়ে অন্যত্র লগ্নি করা হয়েছে। তবে ইয়েস ব্যাঙ্কের এই সংকটের আঁচ করতে পারেনি পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। কারণ ইয়েস ব্যাঙ্কে সঞ্চিত ছিল ৫৪৭ কোটি টাকা। দিন কয়েক আগে মন্দির কর্তৃপক্ষ মাত্র ৪৭ব কোটি টাকা তুলেছিল। বাকি ৫০০ কোটি টাকা বর্তমানে রয়েছে ব্যাঙ্কেই। টাকা তোলার উর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়া কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ। 

Share this article
click me!