রোদে পুড়ে জলে ভিজে প্রতিদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে ফসল ফলায় চাষীরা, আর সেই চাষের ফসলই তছনছ করে হাতির পাল। চাষীদের কাছে এটি একটা নিত্য সমস্যা। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক অভিনব উপায়ের সাহায্য নিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
ছত্তিশগড়ের মহাসামুন্ড জেলায় কুকরাডিহ গ্রামে একটি বড় গজরাজের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষদের আশা এইভাবে গজরাজের মুর্তি পুজো করলে ফসলের অপচয় রোধ করা সম্ভব। কুকরডিহ গ্রামের কৃষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা সিদ্ধিদাতার প্রার্থনায় গজরাজের মুর্তি স্থাপন করেছেন। তাঁদেপ ধারণা এইভাবে গজরাজের মূর্তি স্থাপন করলে গজরাজ অবশ্যই তাঁদের ফসল এবং গ্রামকে হাতির পাল থেকে রক্ষা করবে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বনবিভাগের কর্মী মায়াঙ্ক পান্ডে জানিয়েছেন, বনবিভাগ গ্রামের মানুষের বিশ্বাসকে যথেষ্ট সম্মান করে। তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ফসল নষ্ট যাতে না হয়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন- নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন, অবশেষে মিলল সুবিচার, দোষীকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত
আরও পড়ুন- অজানা বিকট গন্ধে নাকাল বাণিজ্যনগরী, গ্যাস লিক না অন্যকিছু, চলছে জোর জল্পনা
আসলে এই মহাসামুন্ড জেলার বহু কৃষকই হাতির সমস্যায় ভুগছেন। মঙ্গলবার, হাতিরা গোমর্দা অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে এসে খারনিবহাল-এর আট একর কৃষিজমি, এবং ক্যান্ডেলা গ্রামের ১৩ জন কৃষকের ১১ একর জমির ধান নষ্ট করে দেয়। এই অঞ্চলে হাতির কারণে প্রায় ৩৫ একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও এই কারণে কৃষকদের মধ্যে একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর।