ভোটে প্রার্থী একা-একাই প্রচার করছেন এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। রাজনৈতিকদলগুলির বাইরে নির্দল হিসেবে যাঁরা দাঁড়ান, তাঁদেরও সঙ্গে অন্তত দশ-বারোজন সঙ্গী থাকে। কিন্তু মেঘনা দাস, একেবারে একা। একা-একাই নিজের হয়ে প্রচার করছেন তিনি।
কর্নাটকের মেঙ্গালুরু শহরে এক খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করেন মেঘনা। তিনিই এবার মেঙ্গালুরু পুর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাওয়ার সরবরাহ করার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের হয়ে ভোট প্রচারটা সেড়ে রাখছেন তিনি। খাদ্যের অর্ডার দিচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা কাওয়ার নেওয়ার সময়ে মেঘনার প্রচারের ধাক্কায় প্রাথমিকভাবে একটু বিস্মিত হচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু, তাঁকে সমর্থনও করছেন।
কিন্তু , খাওয়ার সরবরাহকারী সংস্থায় কাজ করে করতে হঠাৎ ভোটে দাঁড়ালেন কেন মেঘনা? এই মহিলা ফুড ডেলিভৈারি এক্সিকিউটিভ জানিয়েছেন, এর পিছনে আছে এক কাহিনি। সংবাদ সংস্তা এএনআই-কে তিনি জানিয়েছেন, মেঙ্গালুরু শহরের রাস্তার হাল খুব খারাপ। বর্তমান পুরসভা রাস্তার কোনওরকম মেরামত বা অন্যান্য দেখভালের কাজ করেই না। একদিন এক বাড়িতে খাবার দিতে যাওয়ার পথে রাস্তার এক বিশাল গর্তে পড়ে তাঁর স্কুটি। পড়ে গিয়ে ব্যথা পান মেঘনা। পরের কয়েকদিন কাজেও যেতে পারেননি। সেই সময়ই তিনি ঠিক করেছিলেন রাস্তাক হাল ফেরাতে ভোটেই দাঁড়াবেন। এছাড়া মহিলা ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করতে করতে বিভিন্ন সময়েই তিনি অনুভব করেছেন শবরে মহিবলাদের নিরাপত্তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ভোটে জিতে এই বিষয়েও সরব হতে চান তিনি।
কিন্তু, তিনি কি পারবেন মানুষকে পরিষেবা দিতে? মেঘনা দাস জানিয়েছেন, খাওয়ার ডেলিভারি করার জন্য প্রতিদিনই তাঁকে বহু বাড়িতে যেতে হয়। বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে হয়। রাজনীতির কারবারিদের মতো তিনি ঠান্ডা ঘরে বসে থাকেন না। তাই মানুষের সত্যিকারের সমস্যাগুলি তাঁর জানা। কাছ থেকে দেখেছেন কতটা সমস্যায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই জ্ঞান থেকেই তাঁর বিশ্বাস জন্মেছে, ভোটে জিতলে তিনি অবশ্যই মানুষকে পরিষেবা দিতে পারবেন।