দিল্লিতে মেট্রো এবং বাসে বিনা পয়সায় যাতায়াতের সুযোগ পেতে পারেন মহিলারা। অন্তত সেরকমই পরিকল্পনা করেছে আপ সরকার। এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও ইতিমধ্যেই দিল্লির পরিবহণমন্ত্রী কৈলাস গেহলট বিষয়টি নিয়ে দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। যেহেতু দিল্লি মেট্রো প্রকল্পে দিল্লি সরকারেরও পঞ্চাশ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে, তাই প্রস্তাব দিয়েছে আপ সরকার। যদিও এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বলেই মত দিল্লি মেট্রোর কর্তাদের।
অন্যদিকে দিল্লি মেট্রোকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্রেটার নয়ডা অথোরিটি ১৪ কিলোমিটার লম্বা একটি শাখা লাইন দিল্লি মেট্রোর সঙ্গে জোড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লি মেট্রোর ব্লু লাইনের সঙ্গে এই নতুন লাইনটি যুক্ত হবে। যার ফলে দিল্লির সঙ্গে গ্রেটার নয়ডার মেট্রোর যোগাযোগ স্থাপন হবে।
দিল্লিতে এবার লোকসভা নির্বাচনে একটিও আসনে জিততে পারেনি আপ। ফলে ভোটারদের মন পেতে মরিয়া অরবিন্দ কেজরিবাল সরকার সেই কারণেই সরকারি কোষাগারের উপরে বোঝা চাপিয়ে এমন জনমোহিনী প্রকল্পের কথা ভাবছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দিল্লি সরকার অবশ্য প্রকল্প রূপায়ণে চেষ্টার কসুর করতে চায় না। কীভাবে প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যায়, তার বিস্তারিত বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেওয়ার জন্য দিল্লির মেট্রোর আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির পরিবহণমন্ত্রী।
তবে শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, মেট্রো রেল কর্তারা মনে করছেন, বিনা পয়সায় মহিলা যাত্রীদের মেট্রোয় চড়ার সুযোগ দিলে যে পরিমাণ ভিড় বাড়বে, তা সামাল দেওয়াই মুশকিল হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া দাবি করেছেন, দিল্লি মেট্রোর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে এলে মেট্রোর ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো হবে। আপ সরকার বরাবরই দিল্লি মেট্রোর ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে এসেছে। তাদের অভিযোগ, চড়া ভাড়ার কারণে দিল্লির সাধারণ মানুষ মেট্রো পরিষেবা ব্যবহার করতে পারছেন না।