'পাকিস্তানি বাবাকে নিয়ে গর্বিত', কংগ্রেস-কে কটাক্ষ ফিরিয়ে দিলেন আদনান

আদনান সামির পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।

এর মধ্য়েই মুখ খুললেন গায়ক।

এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের কাছে তিনি বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব দিলেন।

তাঁর দাবি যোগ্যতার জন্যই তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।

 

amartya lahiri | Published : Jan 27, 2020 5:23 PM IST / Updated: Jan 27 2020, 10:54 PM IST

পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে আদনান সামি-কে পদ্মশ্রী দেওয়ার ঘটনাকে সিএএ নিয়ে সরকারকে আক্রমণের অস্ত্র করে তোলা হয়েছে। এনসিপি দলের পক্ষ থেকেও এটা সরকারের 'ড্যামেজ কন্ট্রোল' বলা হয়েছে। তবে আদনান বলছেন তাঁর এই পুরস্কার একজন সংগীতশিল্পী হিসাবে তাঁর যোগ্যতা দেখেই দেওয়া হয়েছে। এর ভিতরে কোনও রাজনীতি নেই।

শনিবার পদ্মশ্রী পুরষ্কার প্রাপক হিসেবে ঘোষিত নামের তালিকায় আদনান সামিও ছিলেন। তাঁর রাজ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে মহারাষ্ট্রকে। এরপরই আদনান সামির বাবার প্রসঙ্গ টেনে কটাক্ষ করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল। আদনানের বাবা আরশাদ সামি খান ছিলেন পাক বিমানবাহিনীর পাইলট। পরে বড় আমলা-ও হন। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই-ও করেছিলেন তিনি। রবিবার, জয়বীর বলেছিলেন, অসমের এনআরসি তালিকা থেকে কারগিল যুদ্ধের বীর মহম্মদ সানাউল্লার নাম বাদ দিয়ে তাকে বিদেশি ঘোষণা করা হল। আর এক পাক বিমানবাহিনীর পাইলটের পুত্রকে ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে।

এই নিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সামি জানিয়েছেন তাঁর বাবার কাজের জন্য তাঁকে দায়ী করা যায় না। তবে তাঁর মতে তাঁর ভুল কিছু করেননি, পাকিস্তানি হিসেবে তাঁর দেশপ্রেম দেখিয়েছিলেন। তার জন্য তিনি গর্বিতও। একইসঙ্গে জয়বীর শেরগিলকে পাল্টা জবাবে আদনান বলেন, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা এই বিষয়ে কিছু বলেননি, কিছু ছোট নেতা এই কাজ করে উপরে সকলের চোখে পড়ার চেষ্টা করেছেন। তবে ২০১৬ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর, এখন তিনি একজন 'গর্বিত ভারতীয়' বলেই দাবি আদনানের। দেশপ্রেম ও আনুগত্যে কোনও খাদ নেই।

তবে শুধু ছোট নেতারাই নন, রবিবার কংগ্রেসের অন্যতম বিশিষ্ট নেতা দিগ্বিজয় সিং-ও বলেছিলেন আদনান সামির মতো কেউ ভারতীয় নাগরিকত্ব এবং পদ্মশ্রী পেতে পারলে সিএএ আনার আর প্রয়োজনীয়তা কী? তবে সামি জানিয়েছেন, তিনি সহজে ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। বহুবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে ১৮ বছর পর মোদী সরকারের আমলে তিনি নাগরিকত্ব পান।

 

Share this article
click me!