গালওয়ান সংঘর্ষের পরই চিনকে হুংকার, দক্ষিণ চিন সাগরে পাল্টা রণতরী পাঠিয়েছিল ভারত

  • দক্ষিণ চিন সাগর মানে লাল ফৌজের খাস তালুক
  • আর সেখানেই রণতরী পাঠিয়েছিল ভারত
  • যা নিয়ে রীতিমত আপত্তি জানিয়েছে চিন 
  • নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল মালাক্কা প্রণালীতেও 

Asianet News Bangla | Published : Aug 30, 2020 12:53 PM IST

মে মাস থেকেই পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় ভারতীয় ও চিনা সেনাদের মধ্যে উত্তাপ বাড়ছিল। আর জুন মাসেই গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের  সেনা বাহিনীর সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গাওলায়েনর দুই দেশের সামান্ত উত্তাপ বৃদ্ধি পাওয়ার পরপরই ভারতীয় নৌবাহিনী তড়িঘড়ি দক্ষিণ চিন সাগরে রণতরী পাঠিয়ে ছিল। সারাসরি হাত দিয়েছিল চিনের খাস সামরিক তালুকে। ভারত ও চিনের মধ্যে আলোচনার সময় এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমত আপত্তি জানিয়েছিল চিন। 

২০০৯ সাল থেকেই চিন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপের আসপাসে  ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজের  নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল চিন। আরই উত্তর দিতে গালওয়ান সংঘর্ষ যখন শুরু হয়েছিল তখনই ভারতীয় নৌবাহিনী দক্ষিণ চিন সাগবে একটি রণতরী মোতায়েন রেখিছিল। যার তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। এই এলাকাটিতে চিনা সেনা দীর্ঘ দিন ধরেই আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। তাই অন্যকোনও দেশের সেনাবাহিনীর আধিপত্য তারা মেনে নিতে চায় না। দক্ষিণ চিন সাগরে এক ইঞ্চি এলাকা ছাড়তে নারাজ বেজিং। এই এলাকায় রীতিমত মহড়া চালায় সেনা সেনা ও নৌবাহিনী। একই সঙ্গে আসপাশের দেশগুলিকে রীতিমত লাল চোখ দেখায় বেজিং। 

সেনা সূত্রে খবর, দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতীয় রণতরীর উপস্থিতিতে রীতিমত আশঙ্কার কালো মেঘ দেখতে শুরু করেছিল চিনা সেনা। একই সঙ্গে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছিল লালফৌজ। 

চিনকে টক্কর দিতে আর নজরদারী চালানোর জন্য  দক্ষিণ চিন সাগরে মোতায়েন থাকে মার্কিন রণতরী। ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজটিও মার্কিন রণতরীগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই এগিয়ে গিয়েছিল।পাশাপাশি ভারতীয় রণতরীর নিজেদের সুরক্ষা নিয়েও মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিল।আর এই মিশনটি খুবই দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা হয়েছিল। 

 একই সময় চিনার নৌবাহিনীর হাত থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে রক্ষা করার জন্য এই এলাকায় নৌবাহিনীর সক্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। মালাক্কা প্রণালীতেও বাড়ানো হয়েছিল নজরদারী। কারণ চিন থেকে ভারতমহাসাগরে আসার এটাই ছিল মূল পথ। চিনের বাণিজ্যতরীগুলিও এই জলপথ ব্যবহার করে। 

ভারতীয় নৌবাহিনীস বেশ কয়েকটি যুদ্ধ যান মোতায়েন করেছিল যুগুলি সাধারণত ব্যবহার করা হয় জলের তলা দিয়ে। আর জলের তলায় অবস্থান করে চিনা রণতরী বা বাণিজ্যতরীর গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য হাসিল করেছিল। পাসাপাশি মিগ বিমানসহ একাধিক প্রয়োজনীয় যুদ্ধ বিমান মোতায়েনের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছিল বলে সূত্রের খবর।  

Share this article
click me!