আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল ভারও চিনের সেনা বাহিনী। গালওয়ান নদীতে সেই সংঘর্ষে বিহার রেজিমেন্টের কর্নেল সন্তোষবাবুসহ ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। গালওয়ান নদী উপত্যকার ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টের দখলদারিকে কেন্দ্র করেই বিবাদ বেঁধেছিল ভারতীয় সেনা ও চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির মধ্যে। তবে সেই ঘটনায় কতজন চিনা সেনা আহত বা নিহত হয়েছিল তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি বেজিং। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে খবর ভারতীয়দের তুলনায় চিনা বাহিনী বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কেটে গেছে এক বছর। কিন্তু তারপরেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারতীয় ও চিনা সেনা বাহিনী চোখে চোখ রেখে অবস্থান করেছে। তবে চলতি বছর বেশ কয়েকটা স্থান থেকে চিন সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে বলেও গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দাসূত্রের খবর চিনা সদর দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী চিনা সেনা প্যাংগং তসো সংলগ্ন বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যহার শুরু করেছে। কিন্তু পিএলএর সেনাকে এখনও দেখা যায় ১৫ ও ১৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট। এই এলাকা গোগরা হটস্প্রিং নামেই পরিচিত। কংকালা এলাকায় চিনা সেনা যে পরিকাঠামো তৈরি করেছিল তাও একই অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে ২০১৩ সালে থেকেই দৌতল বেগ ও ওল্ডি এলাকায় ১০-১৩ নম্বর টহল পয়েন্টে ভারতীয়দের টহল দিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পিএলএর সবার আগে দোপসাং বালোজ লিগ্যাসি ইস্যুটি সমাধান করা জরুরি।
এবার কি আরও দামি হবে কোভ্যাক্সিন, কোভিড টিকা নিয়ে ভারত বায়োটেকের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা ...
পিএলএ জিনজিয়াং অঞ্চলে প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত বার্ষিক সামরিক মহড়া দেয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এবারও চিনা সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী ওই এলাকায় সামরিক মহড়া দিয়েছিল। জে-১১ আর জে ১৭ ফাইটার জেটগুলি উড়তে দেখা গিয়েছিল। যদিও ২০২০ সালের মে মাসে সীমান্ত লঙ্ঘনের পরেই চিনা সেনা দুটি আর্টিলারি ও আর্মার এবং রকেট দুটি ভাগে ভাগ করে বেশ কয়েকটি এলাকা মোতায়েন করেছে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় সেনাও জুন মাস থেকেই জিংজিয়াংএর অতিরিক্ত সামরিক ঘাঁটিতে চিনা সেনা বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজর রাখছে।
কোভিড ১৯ টিকা নিয়ে প্রথম মৃত্যু দেশে, সামনে এল সরকারি ভ্যাকসিন কমিটির রিপোর্ট ..
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকার্তা জানিয়েছেন পূর্ব লাদাখ সেক্টরের পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে গালওয়ান সংঘর্ষের মত ঘটনা আর যাতে না ঘটে তার দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্থানে দুই দেশের সেনা বাহিনী খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। সূত্রের খবর ১২ দফার সামরিক বৈঠক নিয়ে চিনারা এখনও টালবাহান করছে। এখনও পর্যন্ত আলোচনার তারিখ ঠিক হয়নি। ১২ দফার সামরিক বৈঠকেই গোগরা আর হটস্প্রিংএর সামরিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এখনও পর্যন্ত চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামো তৈরি করছে।
গালওয়ান সংঘর্ষের এক বছর পার, চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত ...
চলতি বছর শেষের দিকে ব্রিকস সম্মেলন হওয়ার কথা। সূত্রের খর তার আগে পর্যন্ত এই গোগরা আর হটস্প্রিং এলাকায়র সমস্যা মেটাতে তেমন আগ্রহী হবেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। একই ভাবে চিনা সেনাও চাইছে না দেশের কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উদযাপনের আগে পূর্ব লাদাখ সেক্টরের পরিস্থিতি শান্ত করতে।