করোনাভাইরাস সংক্রমণে জ্বর প্রধান লক্ষণ নয়, ধূমপায়ীদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল নতুন সমীক্ষা

এইমসের নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে জ্বরকেই গুরুত্ব দিলে হবে না 
সংক্রমণের বাকি লক্ষণগুলিকেও নজর দিতে হবে 
ধূমপান কোভিড আক্রান্তদের তেমন ক্ষতি করেনি
সমীক্ষায় ধরা পড়তেও ধূমপান নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 27, 2020 1:08 PM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জ্বরকে বিশে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এইমস-এর নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণে জ্বরে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে অন্যান্য লক্ষণগুলি। যা রীতিমত বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান জার্নাল মেডিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে  উত্তর ভারতে ১৪৪টি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের ওপর সক্ষীমা করে দেখা গেছে মাত্র ১৭ শতাংশই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের তরফে এই ২৩ মার্চ-১৫ এপ্রিলের মধ্যে সমীক্ষাটি চালান হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে

জ্বর প্রধান লক্ষণ নয় 
এইমসের গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য 
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর প্রধান লক্ষণ নয়
জ্বরকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় হারিয়ে যেতে পারে অন্যান্য কারণগুলি 
সমীক্ষা করা হয়েছে ১৪৪ জনের ওপর 
বেশিভাগেরই হালকা শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ছিল 
গলা জ্বালা ও কাশিতে আক্রান্ত অনেকে

যা অন্য গবেষণায় উল্লিখত রিপোর্টের চেয়ে পৃথক ছিল।

গবেষণায় দেখা গেছে  রোগীদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশই জ্বরে আক্রান্ত ছিলে। যা অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় অনেক কম। যেখানে চিনা সম্প্রদায়ের ৪৪ শতাংশই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন এবং ৮৮ শতাংশ পরবর্তীকালে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।   তাই জ্বরের ওপর বেশি জোর দেওয়ার কারণে বাকি দিকগুলি হারিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। 

এই সমীক্ষা থেকে বেরিয়ে এসেছে আরও একটি আকর্ষনীয় তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে ১৪৪ জন রোগীর মধ্যে ভর্তির সময় মাত্র চার জনই গুরুতরভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। যার গড় হিসেব ২.৮ শতাংশ। বাকি ১৪০ জনই মাঝারি সংক্রমণ লক্ষণ নিয়ে এসেছিলেন। ভক্তির সময় শুধুমাত্র জ্বর ছিল মাত্র ১ জনের। 

গবেষণায় দেখা গেছে বয়স, লিঙ্গ, ধূমপান ও ফুসফুসের মোট ক্ষমতার সঙ্গে রোগের তীব্রতার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে নিউট্রোফিল থেকে লিম্ফোসাইটের অনুমানের মধ্যে গুরুতর রোগের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে এই সমীক্ষায়। এন-এল অনুপাতটি শরীরে প্রদাহ নির্ধারনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে ৯ জন ধূমপায়ী রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। যাদের সূচক ছিল ২০০। কিন্তু হাসপাতালে থাকাকালীন অবস্থা কখনই সংকটজনক আকার নেয়নি। তবে সমীক্ষায় সতর্ক করে বলা হয়েছে সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে ধূমপানকে কোভিড আক্রান্তগের  ঝুঁকির কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই সমীক্ষার নেতৃত্বে ছিলেন এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া। 

Share this article
click me!