করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই যেন বাড়ছে। সারা বিশ্ব জুড়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে এই করোনা ভাইরাস। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভারতেও হানা দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা রাতারাতি যেন বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এই লকডাউন চলাকালীন সকলেই ঘরবন্দি। করোনা থেকে নিজেকে আটকাতে আপাতত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এবং একা থাকাই সবথেকে বেস্ট অপশন। কিন্তু সকলে তা মেনে চলছেন না এখন। এহেন পরিস্থিতিতে একের পর এক নির্দেশিকা জারি করছে প্রশাসন।
সম্প্রতি করোনা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এতদিনজানানো হয়েছিল, সংক্রামিত ব্যক্তির কাছাকাছি না গেলে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। এবার সেই নির্দেশিকা ঘুরিয়ে দিয়ে নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। বাড়ির বাইরে বেরোলেই মাস্ক মাস্ট। মাস্ক ছাড়া কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে সার্জিক্যাল মাস্কই যে পরতে হবে তেমনটা নয়, ঘরের তৈরি মাস্ক পরলেই হবে।
আরও পড়ুন-করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, স্মার্টফোনেই মিলবে সঠিক উত্তর...
বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদের জন্য এটা অবশ্যই পালন করতে হবে। তাদেরকে বেশি করে মাস্ক পরার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে বাড়ির তৈরি মাস্ক একজন অপরজনেরটা ব্যবহার না করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কাপড়ের তৈরি আরামদায়ক মাস্ক অনেক উপকারী। মাস্ক একবার ব্যবহার করে তা ধুয়ে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মাস্ক বিক্রি যেন কয়েকদিনের মধ্যে দ্বিগুণ বেড়েছে। বিক্রি যেমন বেড়েছ তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তার দামও। আগে যেই মাস্কের দাম ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে তার দাম । তাই এই বাজারচলতি মাস্কের থেকে ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
আরও পড়ুন-গাজিয়াবাদের পর কানপুর, তাবলিগিদের 'করোনা-জেহাদি' আচরণে সন্ত্রস্ত চিকিৎসাকর্মীরা...
আরও পড়ুন-জুনে পরিস্থিতি হবে সবচেয়ে খারাপ, সমীক্ষা বলছে লকডাউন চলতে পারে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত...