ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় গেল কাফিল খানের পক্ষে, অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ চিকিৎসককে

  • অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ কাফিল খানকে
  • নির্দেশ দিয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট 
  • আলিগড় বিশ্ববিদ্যলয়ে বক্তব্যের জন্য গ্রেফতারি 
  • জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল 

Asianet News Bangla | Published : Sep 1, 2020 7:28 AM IST

উত্তর প্রদেশের চিকিৎসক কাফিল খানকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তাঁকে আটকে রাখা সম্পূর্ণ অবৈধ। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে চিকিৎসকের মন্তব্যে ঘণা বা বিদ্বেষ ছড়ানোর মতো কোনও শব্দ ছিল না। 

গত বছরের শেষের দিকে নাগরিক সংশোধনী আইন পাশ হয়। আর সেই আইনের বিরোধিতা করে উত্তর প্রদেশের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন কাফিল খান। চিকিৎসকের বক্তব্যে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তাঁকে ন্যাশানাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা জাতীয় সুরক্ষা আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের যুক্তি ছিল কাফিল খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি নষ্ট করছেন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছেন। তারপর থেকেই জেলবন্দি ছিলেন কাফিল খান।  বর্তমানে তিনি রয়েছে মথুরার জেলে। গত ১৩ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। 

এদিন ইলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে, কাফিল খানের বক্তব্যে কোনও ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছিল না। একই সঙ্গে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয় জেলা শাসক বাছাই করা কয়েকটি লাইন বা অনুচ্ছেদ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। জেলা শাসকের অভিপ্রায় সঠিক ছিল না। 


তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেই উত্তর প্রদেশ প্রশাসন কফিল খানের বিরোধিতা করেছিল। ২০১৭ সালে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে গোরখপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৬০টিও বেশি শিশুর। আর শিশু মৃত্যুর কারণে চিকিৎসক কাফিল খানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। গত বছরই উত্তর প্রদেশ সরকারের রিপোর্টে তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সরব হন কাফিল খান। আর সেই অভিযোগে তাঁকে দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকতে হয়। 
 

Share this article
click me!