অমিত মালব্য সিদ্ধার্থ বদরাজান , সিদ্ধার্থ ভাটিয়া, এমকে বেনু, ও উপসম্পাদক জাহ্নবী সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। অমিত মালব্যের দাবি ছিল জাহ্নবী সেনই তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্টটি করেছিলেন।
নিউজ পোর্টাল দ্যা ওয়ার (The Wier) এর সম্পাদকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তারই ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ সোমবার সংবাদ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজান ও এডিটর এম কে বেনুর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। মোবাইল ল্যাপটপ-সহ একাধিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেছে।
অমিত মালব্য জানিয়েছেন গত ১০ অক্টোবর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে তিনি X check-list on Metaর স্পেশাল গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তারপরই অমিত মালব্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন বিজেপিক ভাবমূর্তি ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করার জন্য তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এজাতীয় খবর তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
অমিত মালব্য সিদ্ধার্থ বদরাজান , সিদ্ধার্থ ভাটিয়া, এমকে বেনু, ও উপসম্পাদক জাহ্নবী সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। অমিত মালব্যের দাবি ছিল জাহ্নবী সেনই তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্টটি করেছিলেন। সেখানেই তিনি দাবি করেছিলেন অমিত মালব্যকে ইনস্টাগ্রাম থেকে কোনও জিনিস সরানোর জন্য বিশেষাধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অমিত মালব্য তাঁর অভিযোগে জাহ্নবী সেনের নাম করলেও দেবেশ কুমারের নাম করেননি। কারণ তিনি হলেন ওয়্যারের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
যাইহোক বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপির অন্যান্য নেতা ও সমর্থকরা। অখিলেশ মিশ্রা এই ঘটনার পরই একাধিক টুইট করেন। তিনি বলেন, ওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা বারদাদান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের অভিযান মানহানির মামলার কারণে নয়। বরং এটি প্রতারণা, জালিয়াতি, গল্প তৈরি করা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের কারণে। যা তিনি ও তাঁর দলবল একাধিকবার করেছেন। তারপরই তিনি বলেন তাঁদের দাবি তাঁরা দেবেশ কুমারের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। সেই যুক্তি রীতিমত হাস্যকর। কারণ যে স্টোরি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটি জাহ্নবী সেনের বাইলাইনে রয়েছে। আর তা অনুমোদন করেছিলেন স্বয়ং সিদ্ধার্থ বরদারাজান। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে সংবাদ মাধ্যম যা বলছে তা পুরোটাই মনগড়া গল্প বলেও জানান তিনি।
যাইহোক ওয়্যারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে বিষয় বস্তু পাওয়ার পর তা যাচাই করার জন্য সবরকম চেষ্টা তারা করেন।