নরেন্দ্র মোদীর সুরেই সুর মেলালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার তিনিও দাবি করলেন, এই মুহূর্তে দেশজুড়ে এনআরসি চালু করার কোনও পরিকল্পনাই নেই সরকারের।
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ জানান, 'দেশজুড়ে এনআরসি চালু হওয়া নিয়ে কোনও বিতর্কেরই প্রয়োজন নেই। কারণ এই মুহূর্তে এই বিষয়টি নিয়ে সরকার কোনও আলোচনাই করেনি। প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন যে এ নিয়ে মন্ত্রিসভা বা সংসদে কোনও আলোচনা হয়নি।'
আরও পড়ুন- এনপিআর কী, জনগণনার সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায়, জেনে নিন সবকিছু
রবিবার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে দেশজুড়ে এনআরসি চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই বিরোধীরা বিজেপি-কে আক্রমণ করে। বিরোধীরা প্রশ্ন করে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেখানে দেশজুড়ে এনআরসি চালু করার কথা বলছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রী অন্য কথা বলছেন কীভাবে? সংসদে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আলোচনার সময়ই গোটা দেশে এনআরসি চালুর কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
একই সঙ্গে অমিত শাহ দাবি করেছেন, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার-এর সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর আরও দাবি, ডিটেনশন সেন্টার-এর সঙ্গেও এনআরসি বা নাগরিকত্ব আইন-এর কোনও সম্পর্ক নেই। অমিত শাহের কথায়, 'মোদী সরকার এসে ভারতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করতে শুরু করেনি। এগুলি আগেও ছিল।'
তাহলে দেশে এত বড় বড় ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে কেন? এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এটা একটা প্রক্রিয়ারই অংশ। দেশের কিছু আইন আছে। বেআইনিভাবে কেউ এ দেশে প্রবেশ করলেই তো তাকে আমরা থাকতে দিতে পারি না। এই মানুষদের ধরললে বিচারের জন্য তাদের ডিটেনশন সেন্টার-এই রাখতে হবে।' তিনি আরও দাবি করেন, ইউপিএ সরকারের আমলেই এনপিআর শুরু হয়েছিল। এটি একটি ভাল প্রক্রিয়া বলেই মোদী সরকার তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, দেশের বাসিন্দাদের নাম এনপিআর-এর অন্তর্ভুক্ত থাকে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরল সরকার এনপিআর-এর কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে এই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এনপিআর নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।