দেশ জুড়ে যতই প্রতিবাদের ঝড় উঠুক না কেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনও অবস্থাতেই পিছু হটবে না কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর পুলিশের নির্যাতনের অভিযোগকেও আমল দিতে নারাজ তিনি। উল্টে তাঁর দাবি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হতো।
দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন শাহ। তিনি স্পষ্টই জানান সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নে সরকার বদ্ধপরিকর ছিল। ফলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসার প্রশ্নই ওঠে না। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ঘটনাকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বিক্ষোভের নামে যেভাবে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছিল, তাতে পুলিশি পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, 'দেশে চারশো বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তার মধ্যে মাত্র বাইশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে।'
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে জয় তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার, সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি করবে না কেন্দ্র
আরও পড়ুন- আন্দোলনকারীদের তাড়ায় পালাল পুলিশই, ফের রণক্ষেত্র দিল্লি, উঠছে ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন
তিনি আরও বলেন, দেশের মাত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড়সড় বিক্ষোভ হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া, জেএনইউ এবং লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়। অমিত শাহের দাবি, জামিয়া মিলিয়ায় যে পড়ুয়ারা ভাঙচুর এবং লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ করেছেন, শুধুমাত্র তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
তাঁর অভিযোগ, জামিয়া মিলিয়ার বিক্ষোভে বহিরাগতরা ছিল। কথা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অত পাথর এলো, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'কোনও ধরনের হিংসাত্মক ঘটনাই বরদাস্ত করা যায়না। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে কত বাস পোড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে কি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতো?'
মঙ্গলবারই নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যে বিরোধী বিক্ষোভকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।