নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন চব্বিশ ঘণ্টা আগে। পরিস্থিতি সামাল দিতেই হয়তো সেনা প্রধানের মুখে শোনা গেল মানবাধিকারের প্রতি সেনার সম্মানের কথা। এ দিন দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
রাওয়াত এ দিন বলেন, 'ভারতীয় সেনা যথেষ্টই শৃঙ্খলাপরায়ণ এবং মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি তারা যথেষ্টই শ্রদ্ধাশীল।' একই সঙ্গে রাওয়াত মনে করিয়ে দেন, যুদ্ধের সময়ও মানবাধিকার রক্ষা করা এবং যুদ্ধ বন্দিদের ক্ষেত্রেও মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার বিষয়গুলি মাথায় রাখে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন- আসরে সেনাপ্রধান, সিএএ-এনআরসি প্রতিবাদীদের নেতৃত্বকে তুললেন কাঠগড়ায়, দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন- সেনাপ্রধানের দাবি সত্যি করল ডিআরডিও, আসছে আরও এক শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র, দেখুন ভিডিও
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভাকারীদের সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার সেনা প্রধান বলেন, নেতৃত্বের অর্থ জনতাকে লুঠপাট এবং হিংসায় প্ররোচিত করা নয়। সেনাপ্রধান কেন এমন রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন, তা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদেরও সমালোচনা করেন রাওয়াত।
এই বিতর্কে জল ঢালতেই কিনা জানা নেই, সেনাপ্রধানের মুখে এ দিন মানবতা এবং ভদ্রতার মতো শব্দ শোনা গিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, ভারতীয় সেনা সবসময়ই ধর্মনিরপেক্ষ।
সেনাপ্রধান এ দিন বলেন, বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুদ্ধের কৌশল ঠিক করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। তিনি মনে করিয়ে দেন যে সামরিক আক্রমণকে ধর্তব্যের মধ্যে নেওয়া হলেও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে জঙ্গি হামলাকে বিবেচনা করা হয় না।
রাওয়াত বলেন, 'সেই কারণেই সন্ত্রাস দমন অভিযান এমনভাবে করতে হবে যাতে মানুষের মন জয় করা যায়। সাধারণ মানুষের ক্ষতি না করেই জঙ্গিদের কোণঠাসা করে শাস্তি দেওয়ার কাজটাই সবথেকে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।'
মানবাধিকার রক্ষাকে সেনাবাহিনী কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, তা বোঝাতে সেনাপ্রধান জানান, সেনাবাহিনীর মানবাধিকার সেল-কে ডিরেক্টোরেট পর্যায়ে উন্নীত করা হচ্ছে। মিলিটারি পুলিশেও মহিলাদের নিয়োগ করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি জঙ্গি দমন অভিযানের পরেই সেনাবাহিনীর কোর্টে তার তদন্ত করা হয়। জঙ্গি দমন অভিযানগুলির যাবতীয় তথ্যও সংরক্ষণ করা হয়।