সুর চড়ালেও কৃষক সমস্যা সমাধান চাইছেন, কী কী বললেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত

  • সুর চড়াচ্ছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত 
  • মোদীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন তিনি 
  • জাতীয় পতাকার অসম্মান যারা করেছেন তাদের গ্রেফতার করা হোক
  • দাবি করেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের 

Asianet News Bangla | Published : Jan 31, 2021 10:26 AM IST

মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে লালকেল্লায় ঘটনায় দুঃখ পেয়েছে গোটা দেশ। জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তারপরই প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত বলেন, গোটা দেশই জাতীয় পাতাকাকে সম্মান করে। যাঁরা জাতীয় পতাকার অপমান করেছে, অবিলম্বে সরকারের উচিৎ তাদের গ্রেফতার করা। 

অন্যদিকে রবিবার আরও একবার নতুন তিনটি কৃষি আইন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙঅগে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নেক রেনা রাকেশ টিকাইত বলেন সরকার চাইলে তাঁরা আবারও আলোচনার টেবিলে যেতে প্রস্তুত। তবে পূর্ব শর্ত না রেখে কৃষক ইউনিয়নগুলি আলোচনায় বসুক তেমনই চাইছেন বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। রাকেশ টিকাইত বলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই কৃষক সমস্যা সামাধান চাইছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে গান পয়েন্টে আলোচনায় বসতে তারা নারাজ বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। 

কৃষক নেতা রাকেশের কান্না প্রাণ ফেরাল আন্দোলনের, কৃষক মহাপঞ্চায়েতে জনসমুদ্র ...

জাতীয় পতাকার অবমাননায় দুঃখ পেয়েছে দেশ, বছরের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী ...


অন্যদিকে রাকেশ টিকাইতের ভাই নরেশ টিকাইত রবিবার বলেন, কপ্রধানমন্ত্রীর মর্যাদাকে সম্মান জানান হবে। তবে তারা নিজেদের সম্মান রক্ষার জন্যও বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের উচিৎ যেসব আন্দোলনকারীকে পাকড়াও করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়া আর আলোচনার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। তিনি বলেছেন কৃষকরা একটি সম্মানজনক সমাধান চাইছে। তবে চাপের মুখে কৃষকরা এখনই নতী স্বীকার করবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। কৃষকদের আত্ম সম্মান রক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। টিকাইত ভাইদের বক্তব্য ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লা বা দিল্লিতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেটি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। হিংসার ঘটনা বরদাস্ত করা হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।  শনিবারই দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৮৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। ৩৮টি এফআইআর দায়ের করেছে।  আর জনসাধারণের কাছ থেকে হিংসার ১ হাজার ৭০০ মোবাইল ক্লিপ ও সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে। তদন্তের কাজে সেগুলি ব্যবহার করা হবে।  


 

Share this article
click me!