অরুণাচল প্রদেশের চিনা নাম ‘জাংনান’। নতুন করে ভারতের অংশের নাম পরিবর্তন করে সেটাকে চিনের অংশ বলে দাবি করে নিল শি জিনপিং প্রশাসন।
অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে কিছুতেই মিটছে না ভারত-চিন দ্বন্দ্ব। বারবার ভারতের তরফে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে চিন প্রশাসন। অরুণাচলকে ‘সার্বভৌম চিনের অংশ’ বলে ঘোষণাও করে দিয়েছে শি জিনপিং সরকার। অরুণাচল প্রদেশের চিনা নাম ‘জাংনান’, বুধবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘জাংনান চিনের ভূখণ্ডেরই অংশ। চিন সরকার আইন মেনেই প্রশাসনিক প্রয়োজনে কিছু নাম পরিবর্তন করেছে। এটি চিনের সার্বভৌম অধিকার।’
চিনের কমিউনিস্ট সরকারের অধীনস্থ একটি সংবাদপত্র সোমবার সরকারি বিজ্ঞপ্তিটি উদ্ধৃত করে লিখেছে, রবিবার চিন দেশের স্বরাষ্ট্র দফতর অরুণাচলের ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৫টি পর্বতশৃঙ্গ, ২টি মালভূমি অঞ্চল, ২টি আবাসিক এলাকা এবং ২টি নদী। এর পরেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে চিনা পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করা হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘অরুণাচলের যে ১১টি অঞ্চলের নাম বদলের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ।’
অরুণাচলকে বরাবরই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে এসেছে চিন। প্রশাসনের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই পাহাড়ি প্রদেশ অধিকৃত তিব্বতের দক্ষিণ অংশ। এর আগেও দু’বার অরুণাচলের বিভিন্ন অংশের নাম বদল করেছে চিন। ২০১৭ সালে দলাই লামার অরুণাচল সফরের পরে সে রাজ্যের ৬টি জায়গার নাম বদল করে চিনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ২০২১ সালে আরও ১৫টি জায়গায় নাম বদলের কথা জানানো হয়। লাদাখের পাশাপাশি তাওয়াং-সহ অরুণাচলের বেশ কিছু এলাকাতেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের কথা জানা গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতির পর্যায়ে জিনপিং সরকারের এই আগ্রাসী মনোভাব নতুন করে ভারত বনাম চিন দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন-
PM Modi News: অস্কার বিজয়ী 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স'-এর সাক্ষী নরেন্দ্র মোদীও, ৯ এপ্রিল নীলগিরিতে প্রধানমন্ত্রী
এপ্রিলের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করেছে সোনার দাম, দেখে নিন বৃহস্পতিবারের লেটেস্ট আপডেট
‘গণতান্ত্রিক দেশে সকলেরই সমান দৃষ্টিভঙ্গি থাকা জরুরি নয়’, সংবাদ চ্যানেলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট