২০২৪ মুড অফ নেশন সার্ভে: ভোটের আগে সিএএ নিয়ে সিদ্ধান্ত মাস্টারস্ট্রোক বিজেপির? সমীক্ষা দিল উত্তর

উল্লেখ্য যে সিএএ ২০১৯ নির্বাচনের আগে বিজেপির জন্য একটি প্রধান প্রচারের এজেন্ডা ছিল। বিরোধিতা সত্ত্বেও, সংসদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে CAA অনুমোদন করেছিল।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিয়মগুলিকে প্রকাশ করে মোদী সরকার। তারপরেই দেশ জুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। সিএএ অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সিদ্ধান্ত কি বিজেপি সরকারের পালে হাওয়া দেবে! নাকি বুমেরাং হবে ভোট বাক্সে তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। তবে এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্ক পরিচালিত মুড অব দ্য নেশন ডিজিটাল সমীক্ষায় মিলেছে এর উত্তর।

এশিয়ানেট নিউজের এক্সক্লুসিভ সমীক্ষায় দেশ জুড়ে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট। কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের থেকে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি ও এনডিএ। এশিয়ানেট নিউজের বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি, তামিল, তেলুগু, মাললায়ম, কন্নড় ও মারাঠি ভাষার নিউজ এডিটরদের করা সমীক্ষায় সাড়া দিয়েছেন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ। ১৩ই মার্চ থেকে ২৭শে মার্চের মধ্যে করা সমীক্ষায় উত্তর মিলেছে ৭,৫৯,৩৪০ জনের কাছ থেকে। মুড অফ দ্য নেশন সার্ভেতে আমাদের কাছে উঠে এসেছে দেশের নানা প্রান্তের মানুষের বক্তব্য।

Latest Videos

উত্তরদাতাদের ৫১.১ শতাংশ বিশ্বাস করে যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিএএ-নিয়ে সিদ্ধান্ত বিজেপির ভোটবাক্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে যারা ডিজিটাল সমীক্ষায় অংশ নেন তাদের মধ্যে ২৬.৮৫ শতাংশ বিশ্বাস করেছিলেন যে সিএএ-র সিদ্ধান্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে ২২.০৩ শতাংশ মনে করেন যে সিএএ দিয়ে কোনও লাভ সেভাবে পাবে না গেরুয়া শিবির।

উল্লেখ্য যে সিএএ ২০১৯ নির্বাচনের আগে বিজেপির জন্য একটি প্রধান প্রচারের এজেন্ডা ছিল। বিরোধিতা সত্ত্বেও, সংসদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে CAA অনুমোদন করেছিল। এই আইনের উদ্দেশ্য হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সিদের নাগরিকত্ব প্রদান করা যারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে ভারতে এসেছিলেন।

আইনটি সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে তালিকাভুক্ত অসম, মেঘালয়, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার উপজাতীয় অঞ্চলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে না, সেইসাথে অসমের কার্বি অ্যাংলং, মেঘালয়ের গারো পাহাড়, চাকমা জেলা এবং উপজাতীয় অঞ্চলের জেলাগুলির মতো নির্দিষ্ট আদিবাসী অঞ্চলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে না। সমালোচকদের যুক্তি যে আইনটি মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং সাংবিধানিক নীতি লঙ্ঘন করে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এটি পেশ করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতির পরে, দেশের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।

আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

টোটোর ভাড়া চাইতেই এইরকম কাণ্ড! দেখলেই আঁতকে উঠবেন, চাঞ্চল্য Malda-এ | Malda News Today
সীমান্তের নিরাপত্তা হুমকির মুখে! Bangladeshi Infiltration কবে থামবে? | Gede Border | Rohingya
'চায়ের দোকানে চা বিক্রি করুন, চাকরির থেকে বেশি টাকা আয় হয়' মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee Malda
কি বললেন? সুকান্তকে পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Sukanta Majumdar | Bangla News
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এ কী করলো নাবালিকার সঙ্গে! চমকে যাবেন আপনিও, চাঞ্চল্য Nabadwip-এ | Nadia