সারা দেশের সমস্ত সংবাদমাধ্যমের মধ্যে, সবার প্রথম, ৭ মাস আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ২০২২ (UP Elections 2022) বিষয়ে জনমত সমীক্ষা পরিচালনা করেছিল এশিয়ানেট নিউজ-জন কি বাত। অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল সেই সমীক্ষা, যোগী আদিত্যনাথই (Yogi Adityanath) হলেন বিজেপির (BJP) 'উপ'যোগী ।
সারা দেশের সমস্ত সংবাদমাধ্যমের মধ্যে, সবার আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ২০২২ (UP Elections 2022) বিষয়ে জনমত সমীক্ষা পরিচালনা করেছিল এশিয়ানেট নিউজ। নির্বাচনের সাত মাস আগে, ২০২১ সালের অগাস্টে করা এশিয়ানেট নিউজ-জন কি বাত মুড অব দ্য ভোটার্স (Asianet News-Jan Ki Baat Mood of Voters) জনমত সমীক্ষায়, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) দ্বিতীয় মেয়াদে প্রত্যাবর্তনের স্পষ্ট পূর্বাভাস মিলেছিল। সমীক্ষার ফল বলেছিল, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি (BJP) সহজেই জয় পাবে। সাতমাস পর, সেই ভবিষ্যদ্বাণী একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল।
কানপুর বুন্দেলখণ্ড, আওয়াধ, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, ব্রিজ, কাশী এবং গোরক্ষ - উত্তরপ্রদেশের ছয়টি অঞ্চলেই বিস্তৃতভাবে এই সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল। ২০,০০০ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন সমীক্ষায়। ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, বিজেপি ৪২ শতাংশ ভোট পাবে এবং ২২২ থেকে ২৬০ টি আসন জিতবে। যেখানে সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) আটকে যাবে ১৩৫ টি আসনেই। ভোটগণনার সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী বিজেপি জয়ী হয়েছে বা এগিয়ে রয়েছে ২৬৩টি আসন। আর সমাজবাদী পার্টি এগিয়ে রয়েছে, ১৩৫টি আসনে।
আরও পড়ুন - আর ৭ মাসের মাথায় উত্তর প্রদেশে ভোট, যোগী না অখিলেশ- কার দিকে ঢলে রয়েছে জনতার মন
বিএসপি (BSP) যে এক অঙ্কের আসনে আটকে যাবে, তাও বলা হয়েছিল সমীক্ষায়। আমরা বলেছিলাম মায়াবতীর (Mayawati) দল পেতে পারে মাত্র ৪টি আসন। ভোট গণনার বর্তমান প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে দলটি মাত্র ১ থেকে ২টি আসনে এগিয়ে আছে। একইভাবে, কংগ্রেসের (Congress) করুণ দুর্দশারও পূর্বাভাস দিয়েছিল এশিয়ানেট নিউজ। আমাদের সমীক্ষা বলেছিল, কংগ্রেসও একক সংখ্যার আসনেই আটকে যাবে, পেতে পারে মাত্র সাতটি আসন। ভোটগণনায় তারা মাত্র ১ থেকে ২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
আমাদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই ফের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাইছেন ৫১ শতাংশ মানুষ। ফলাফলও বলে দিচ্ছে, তাঁর নেতৃত্বকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন ভোটাররা। মুখ্যমন্ত্রী পদে, অখিলেশ যাদবকে পছন্দ করেছিলেন, ৩৮ শতাংশ ভোটার। এই পদে মায়াবতীকে চেয়েছিলেন মাত্র ৮ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রর সমর্থনের ভিত্তি ছিল আরও কম, মাত্র দুই শতাংশ।
এশিয়ানেট নিউজের সমীক্ষাই প্রথম বলে যে সমস্ত রোড শো, এবং গান্ধী ও যাদবদের মোদী সরকার-বিরোধী বক্তব্য ভোটারদের মনে খুবই কম প্রভাব ফেলতে চলেছে। লখিমপুর খেরি আসনে বিজেপির জয়ই প্রমাণ করে দিয়েছে, রাজনৈতিক বুলির থেকে ভোটাররা অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন।
আমাদের সমীক্ষা বলেছিল যোগী সরকারের প্রতি উত্তরপ্রদেশের জনতার সমর্থনের ভিত্তি ছিল দুটি বিষয়ে - দুর্নীতি নিয়ন্ত্রন এবং আইনের শাসন। এর পাশাপাশি অবশ্যই, অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পূরণও যোগীর জয় নিশ্চিত করতে বড় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। যোগী আদিত্যনাথের কোভিড পরিস্থিতি পরিচালনাও জনতা পছন্দ করেছিলেন। আবার, মূল্যবৃদ্ধি নিন্ত্রণে যোগী সরকারের দুর্বলতা নিয়ে ভোটাররা বিরক্তও ছিলেন। তবে, এদিনের ফলাফল বলে দিচ্ছে, ভোটাররা মুদ্রাস্ফীতিকে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ ভিত্তিক সমস্যা বলে মনে করেননি।