ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্দরেও এবার বড়সড় আঘাত হানলো মারণ করোনাভাইরাস। একসঙ্গে করোনা সংক্রমণের শিকার হলেন অন্তত ২০ জন জওয়ান। আক্রান্তরা সকলেই মুম্বই বেসে ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁদের নৌবাহিনীর হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জওয়ানদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তার খোঁজ শুরু হয়েছে।
নৌবাহিনীর আক্রান্ত নাবিকরা সকলেই আইএনএস আংরে-তে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের কাজ ছিল ওয়েস্টার্ন নেভাল কম্যান্ডকে প্রশাসনিকভাবে ও পশ্চিম উপকূলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিকল্পনায় সাহায্য করা।
করোনা মোকাবিলায় দ্বিতীয় দফার লকডাইনে দেশ, দেখে নিন কোন মহানগরগুলি রয়েছে 'রেড জোন' তালিকায়
লকডাউনের মাঝেই এলাহি আয়োজন, ছেলের বিয়ে দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
করোনা আবহেও পাকিস্তান রাফতানি করছে সন্ত্রাসবাদ, প্রতেবশী দেশকে এবার খোঁচা সেনা প্রধানের
এই প্রথম নৌবাহিনীতে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেল। জানা যাচ্ছে, আইএনএস আংরের একটি রেসিডেন্সিয়াল এলাকাতে থাকতেন। লকডাউনের কারণে ওই রেসিডেন্সিয়াল এলাকা বাইরে থেকে বন্ধ রয়েছে। কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু খুব দরকারে সেখানে কেউ যান কিনা, এবং জওয়ানরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা তার খোঁজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যুদ্ধজাহাজে থাকা কোনও জওয়ান এর মধ্যে ওই রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় গিয়েছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।
আক্রান্ত জওয়ানদের বর্তমানে মুম্বইয়ে নেভির হাসপাতাল আইএনএইচএস অশ্বিনী-তে রাখা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনও লক্ষণ ছিল না।
ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে এই আইএনএস আংরে। মুম্বইয়ের বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ ও ইউনিটকে সাহায্য করা, দরকার পড়লে তাদের পরামর্শ দেওয়ার কাজ করে থাকে এই জাহাজ। ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ও বড় যুদ্ধজাহাজগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই আইএনএস আংরে। আর তাই এই জাহাজে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় চিন্তিত নৌবাহিনী।
এদিকে ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ সবেচেয় বেশি দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রেই। রাজ্যটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাণিজ্য রাজধানীর মুম্বইয়ের। মুম্বইতে একা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। নৌবাহিনীর আক্রান্ত জওয়ানরাও মুম্বইতেই ছিলেন।
দেশের নৌবাহিনীতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা প্রথম হলেও, সেনাবাহিনী আগেই ৮ জওয়ান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জন চিকিৎসক ও ১ জন চিকিৎসা কর্মী রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪ জন সুস্থও হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন সেনা কর্তা।