সেনা-সুরক্ষায় অভিনব 'রোবো হেলমেট', কলেজ ছাত্রী জাগালেন 'আত্মনির্ভর ভারত'এর স্বপ্ন

পিছন থেকেও আক্রমণ করার উপায় নেই

সঙ্গে সঙ্গে সেনাকে জানিয়ে দেবে হেলমেট

এমনই অভিনব উদ্ভাবন বারানসীর কলেজ ছাত্রীর

নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র থেকেই জাগল আত্মনির্ভর ভারতের আশা

amartya lahiri | Published : Aug 16, 2020 11:07 AM IST / Updated: Aug 19 2020, 11:52 AM IST

আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁর নিজের সংসদীয় নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী থেকেই আত্মনির্ভর ভারতের এক অসামান্য নিদর্শন উঠে এল। ভারতীয় সেনার হাত শক্তিশালী করতে এক অনবদ্য হেলমেট তৈরি করলেন এক কলেজ শিক্ষার্থী। যা কার্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর দারুণ কাজে লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে রেডিও সংকেত অনুযায়ী কাজ করে এই 'রোবো হেলমেট'। যার ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শত্রুদের উপর দূরসংযোগেই গুলি চালানো যাবে। চাকা, ছোটো বন্দুক এবং ওয়্যারলেস সিস্টেমে সজ্জিত, রিমোট পরিচালিত এই যন্ত্র শুধু যে জওয়ানদের বাড়তি নিরাপত্তা দেবে তাই নয়, প্রয়োজনে শত্রুর দখলে থাকা এলাকায় ঢুকে তাদের উপর গুলিও চালাতে পারে।

এই রোবো হেলমেট-এর নকশা করেছেন অশোক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী অঞ্জলি শ্রীবাস্তব। তাঁর আশা সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর তৈরি 'রোবো হেলমেট' বিপ্লব আনতে পারে। কারণ যদি পিছন থেকে গোপনে কেউ কোনও জওয়ানকে আক্রমণ করতে যায়, তাহলে এই হেলমেটের সংকেতের মাধ্যমেই সতর্ক হয়ে  যাবেন তিনি। সেই শত্রুকে নিকেশ করতে তাঁকে পিছনেও ঘুরতে হবে না। হেলমেটে একটি বেতার ট্রিগার সংযুক্ত থাকবে, যার মাধ্যমে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করেই তিনি ওই অবস্থাতেই শত্রুর উপর গুলি চালাতে পারবেন। ট্রিগারটি যে কোনও ধরণের রাইফেলের সঙ্গেই সংযুক্ত করা যেতে পারে।

এতকিছুর পরেও হেলমেটটি ওজন বেশ হালকা। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে এটি। তবে অশোক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের গবেষণাগারে এই হেলমেটের একটি প্রোটোটাইপ সংস্করণ তৈরি করা গিয়েছে। সেটিই রিমোট চালিতভাবে ৫০ মিটার পরিসর পর্যন্ত চলতে পারে। আর এতে থাকা বন্দুকটির পাল্লা ১০০ মিটার। তৈরি করতে খরচ পড়েছে মাত্র ৮,০০০ টাকার মতো। যন্ত্রটি সৌর শক্তি দিয়েও চার্জ করা যায়। এখন অশোক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে অনুমদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আরও শক্তিশালী যন্ত্রাংশ দিয়ে মূল সংস্করণটি তৈরি করতে চান তাঁরা। প্রতিষ্ঠানের আশা 'আত্মনির্ভর ভারত'-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ডিআরডিও নিশ্চয়ই তাঁদের এই উদ্ভাবনটিকে উত্সাহ দেবেন।

 

Share this article
click me!