চূড়ান্ত নাটক, আদালতে পেশ সীতার রান্নাঘরের ছবি সম্বলিত প্রমাণ, ছিঁড়েই দিল মুসলিম পক্ষ

  • বুধবার (১৬ অক্টোবর) অযোধ্যা মামলার শুনানির শেষ দিন
  • শেষ দিনেই এজলাসে ঘটে গেল চুড়ান্ত নাটক
  • হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে রাম জন্মস্থানের পক্ষে নয়া প্রমাণ হিসেবে একটি বই পেশ করা হল
  • আদালত কক্ষেই সেটি ছিঁড়ে দিলেন মুসলিম পক্ষের আইনজীবী

amartya lahiri | Published : Oct 16, 2019 9:21 AM IST / Updated: Oct 16 2019, 03:27 PM IST

বুধবার (১৬ অক্টোবর) অযোধ্যা মামলার শুনানির শেষ দিন। আর শেষ মুহূর্তে একেবারে টান টান উত্তেজনা দেখা গেল আদালত কক্ষে। এজলাসে দেখা গেল চুড়ান্ত নাটক। হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে রাম জন্মস্থানের পক্ষে নয়া প্রমাণ হিসেবে একটি বই আদালতে পেশ করতে গেলে সেটি ছিঁড়েই দিলেন মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান।

টানা ৪০ দিন ধরে চলছে অযোধ্যা মামলার শুনানি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের সাংবাধানিক বেঞ্চের সামনে বিতর্কিত জমিটি যে রামলালার জন্মস্থল, তার নয়া প্রমাণ হিসেবে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কিশোর কুন্তল-এর, এই বিষয়ে লেখা একটি বই পেশ করতে যান হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বিকাশ সিং।

আরো পড়ুন - অযোধ্যা মামলা, শুনানির শেষ দিনে বিস্ময়কর মোড়, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের ভিতরেই কি ফাটল

শুনানির শেষ দিনে এসে সম্পূর্ণ নতুন একটি বই প্রমাণ হিসেবে পেশ করার তীব্র বিরোধিতা করেন মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান। বইটিতে একটি মানচিত্র রয়েছে যা রামের জন্মস্থানকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করছে বলে বইটি পেশের পক্ষে পাল্টা যুক্তি দেন বিকাশ সিং। তিনি বলেন বইয়ে থাকা মানচিত্র বলছে, রাম জন্মস্থানের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে সীতার রান্নাঘর। জন্মস্তানের ৫০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি কুয়ো রয়েছে। যা বর্তমানে সেখানে থাকা মসজিদের ৫০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। কাজেই এইসব প্রমাণ একত্রিত তকরলে জন্মস্থানটি পড়ছে মসজিদের কাঠামোর ঠিক মাঝখানে।

আরো পড়ুন - হাল্কা ভাবে নেবেন না, কেন্দ্র ও জম্মু কাশ্মীর সরকারকে কড়া ধমক সুপ্রিম কোর্টের

বিকাশ সিং উচ্চস্বরে এইসব প্রমাণের যুক্তি দেওয়ার সময়ই ফের বাদা দিতে শুরু করেন আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান। এরপরই তিনি বলেন তিনি এই প্রমাণ ছিঁড়ে দেবেন, এবং সকলকে অবাক করে সত্যি সত্যি এহগিয়ে এসে বিটির পাতা ছিঁড়ে দিতে শুরু করেন। শুরু হয় চুড়ান্ত ডামাডোল।

এই অবস্থায় ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, এভাবে চলতে থাকলে শুনানি বন্ধ করে তাঁরা স্রেফ উঠে চলে যাবেন। তাতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি বইটি নিজের সংগ্রহে রাখতে চান। ১৭ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই অবসর নেবেন রঞ্জন গগৈ। তিনি এখন এই বইটিই পড়বেন। বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যেই প্রত্যেকের বক্তব্য পেশ করতে হবে।

 

Share this article
click me!