Mahashivratri 2024: বিয়ের পর পার্বতীকে নিয়ে ছদ্মবেশ ধরে রাত কাটিয়েছিলেন ভগবান শিব, এই মন্দিরের কাহিনী শুনলে চমকে উঠবেন

হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে, গোমতী নদী এবং গারুর গঙ্গার মিলনস্থলে পার্বতী-কে বিয়ে করেছিলেন শিব। বিয়ে করে ফেরার পথে এখানেই রাত্রিবাস করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, কেউ তাঁদের আসল পরিচয় জানতে পারেননি। 

গোমতী নদীর তিরে এক ছোট্ট শহর বৈজনাথ। উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন অঞ্চলের মধ্যে বাগেশ্বর জেলার মধ্যে এই শহর। বৈজনাথের আদি নাম ছিল কার্তিকেয়পুরা। এখানে শাসন ছিল কাত্যুরি রাজাদের। এই রাজ্য ছিল আসলে গারওয়াল এবং কুমায়ুন মিলে। শুধু তাই নয় কাত্যুরি রাজাদের রাজত্ব ধোতি যা বর্তমানে নেপাল নামে পরিচিত- ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলে ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে। 


বৈজনাথ মন্দির তৈরি হয়েছিল ১১৫০ সালে। ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল থেকে জানা যায় যে এই বৈজনাথ মন্দির তৈরি হয়েছিল বারো শতকের মাঝামাঝিতে। হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে, গোমতী নদী এবং গারুর গঙ্গার মিলনস্থলে পার্বতী-কে বিয়ে করেছিলেন শিব। বিয়ে করে ফেরার পথে গোমতীর তিরে যেখানে এখন বৈজনাথ মন্দির সেখানেই তাঁরা রাত্রিবেলা বরযাত্রীদের নিয়ে অধিষ্ঠান করেন।

বৈজনাথের বাসিন্দাদের মতে শিব-পার্বতী পরের দিন তাদের লোকজন নিয়ে সকালে কৈলাসের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তাদের বিদায়ের পর দেখা যায় মাটির নিচ থেকে আপনাআপনি এক শিবলিঙ্গের উদ্ভব হয়েছে। খবর পৌছয় কাত্যুরি রাজার কাছে। কথিত আছে যে, শিব এবং পার্বতী কেউ-ই নিজেদের আসল পরিচয় দিয়ে গোমতী নদীর তিরে কাত্যুরি রাজাদের রাজ্যে রাত্রিবাস করেননি। শিব নিজেকে এক বেদের ছদ্মবেশে লুকিয়ে রেখেছিলেন। কাত্যুরি রাজপরিবারের সে সময় ঘোর সঙ্কট। রাজপরিবারর অতি গুরুত্বপূর্ণ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং মরণ শয্যা প্রায় শায়িত ছিলেন। বেদের ছদ্মবেশে থাকা শিব-এর ঔষধ রাজপরিবারের ওই অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে সুস্থ করে তোলে বলে বৈজনাথ শহরের বাসিন্দাদের দাবি। কারও দাবি ওই অসুস্থ ব্যক্তি আর কেই নন খোদ কাত্যুরি রাজপুত্র ছিলেন। কেউ আবার বলেন কাত্যুরি রাজা খোদ মৃত্যুর পথযাত্রী ছিলেন। শিবের ঔষধ তাঁকে নবজন্ম দিয়েছিল।

কাত্যুরি রাজার রাজকর্মচারীদের অ্যাপায়ণ খুশি করেছিল শিব ও পার্বতীকে। যেভাবে একজন সাধারণ বেদ এবং তাঁর নববিবাহিত স্ত্রী-সহ বরযাত্রীদের জন্য গোমতীর তিরে থাকা বন্দোবস্ত এবং খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাতে খুশি হয়েছিলেন দেবাদিদেব। রাজকর্মচারীদের কাছেই জানতে পেরেছিলেন রাজপরিবারের রাজ অসুখের কথা। রাতেই রাজকর্মচারীদের হাতে জোর করে ঔষধ দিয়ে রাজপ্রাসাদে পাঠিয়েছিলেন।

সকাল যখন শিব-পার্বতী তাদের বরযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ছদ্মবেশে এলাকা ছাড়েন তখন নাকি চারিদিকে শঙ্খনিনাদ বেজে উঠেছিল। কথিত রয়েছে শিব-পার্বতী চলে যেতেই গোমতীর তিরে মাটির নিচ থেকে উঠে আসে শিবলিঙ্গ। কাত্যুরি রানির কানে পৌঁছয় সেই খবর। এদিকে রাজপরিবারের সেই সদস্য তখন শিবের (Shiv) ঔষধে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। পুরো এলাকা পরিদর্শন করেন রানি, সেখানে পড়ে থাকা কিছু প্রমাণ থেকে তাঁর বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, স্বয়ং শিব ও পার্বতী তাঁদের রাজ্যে অধিষ্ঠান করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে রানিরব নির্দেশে গোমতীর তিরের এই এলাকাকে ঘিরে ফেলা হয়।


রাজার অনুমতি নিয়ে রাজকর্মচারিদের সাহায্যে এক রাতের মধ্যে সেখানে ১৮টি মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। মন্দির দিয়ে তৈরি হওয়া এই এলাকাকে রাতারাতি বৈজনাথ ধাম বলে অভিহিত করা হয়েছিল বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। সেই থেকেই বৈজনাথ মন্দিরের (Baijanath Mandir) নামেই কার্তিকেয়পুরা পরিচিতি লাভ করে।

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
Suvendu Adhikari Live: বিধানসভার বাইরে মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন সরাসরি
'বালি চুরি, কয়লা চুরিতে যুক্ত পুলিশদের একাংশ' বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul