বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনার সঙ্গে বাংলার নামও জড়িয়ে গিয়েছে।
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ও তার সহকারীকে ৩ দিনের জন্য এনআইএ হেফাজতে পাঠানো হল। শুক্রবারই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সজীব ও আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহাকে। তাদের ৩ দিনের ট্রানজিট রিম্যান্ডে এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এনআইএ-র আইনজীবী জানিয়েছেন, বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ধৃতদের শারীরিক পরীক্ষার পর তাদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করে ট্রানজিট রিম্যান্ডের আর্জি জানানো হয়। সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। ফলে কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতদের। তাদের জেরা করে রামেশ্বরম ক্যাফের বিস্ফোরণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করবে এনআইএ।
যৌথ অভিযানে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এনআইএ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ অভিযানে ২ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনআইএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি রেখেছিল মুসাভির হুসেন সজীব। এই বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনা ছিল আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহার।’ এনআইএ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্তরা অসম ও পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে শুরু করে এনআইএ। শেষপর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হল।
ধৃতদের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা
১ মার্চ বেঙ্গালুরুর ব্রুকফিল্ড অঞ্চলে আইটিপিএল রোডে অবস্থিত রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণে কয়েকজন জখম হন। ওই ক্যাফের কয়েকজন কর্মী গুরুতর জখম হন।৩ মার্চ তদন্তভার নেয় এনআইএ। মূল অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্য দিলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বিস্ফোরণের প্রায় দেড় মাস পর মূল অভিযুক্তরা ধরা পড়ল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Rameshwaram Cafe Blast: জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলা, তোপ বিজেপি-র
রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার ২, টানা তল্লাশির পর অবশেষে পুলিশের জালে দুষ্কৃতীরা
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণেকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১, তিন রাজ্যে একযোগে তল্লাশি NIA-এর