গোগরা পোস্টে রণেভঙ্গ দিল চিন, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারতের মুকুটে সাফল্যের পালক

পূর্ব লাদাখ সেক্টরে আবারও পিছিয়ে গেল চিন। সেনা সরানো হচ্ছে গোগরা থেকে। 
 

Asianet News Bangla | Published : Aug 6, 2021 12:42 PM IST / Updated: Aug 06 2021, 06:20 PM IST

পূর্ব লাদাখ সেক্টরে বড় সাফল্য পেতে চলেছে ভারত। অবশেষ গোগরা এলাকা  থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন চিন। চিন যদি ওই এলাকা থেকে সেনা বাহিনী সরিয়ে নেয় তাহলে ভারতেও এলাকা খালি করে দেবে বলে সূত্রের খবর। গোগরা আর হটস্প্রিং এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মের আর ভারতীয় সেনা বাহিনীর জন্য স্থবিরতা বজায় ছিল। এই এলাকা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি ছিল ভারতের দীর্ঘ দিনের। 

পূর্ব লাদাখের চুষুল মোল্ডো মিটিং পয়েন্টে গত ৩১ জুলাই ভারত ও চিনের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে ১২তম সামরিক বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেই গোগরা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তারপরই এলাকা থেকে সেনা বাহিনী অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছেন ভারত আর চিন পূর্ব লাদাখ সীমান্তের বাকি এলাকাগুলি নিয়েও আলোচনা করছে। দুই পক্ষই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আন্তরিক বলেও দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা  হয়েছে বৈঠকের দুই পক্ষ গোগরা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছিল। গত বছর মে মাস থেকে এই এলাকায় দুই পক্ষের সেনা অবস্থান করছিল।

Hiroshima Day: ফিরে দেখা ভয়ঙ্কর সেই অতীত, পরমাণু বোমার ধ্বংসের ক্ষত বয়ে চলছে হিরোশিমা

বাইডেনের ফোনের প্রতীক্ষা, নিজের দেশেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক ইমরান খান

অন্ধকারে ভারতের আকাশে পাক ড্রোনের হামলা,সীমান্ত পেরিয়ে নদীর ধারে ফেলে গেল প্রচুর অস্ত্র

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ বেশ কয়েকটি স্থানে নতুন করে সেনা মোতায়েন বন্ধ করেছে। আগামী ৫ অগাস্টের মধ্যে সেনা সরানোর কাজ শেষ হতে পারে। বর্তমানে দুই পক্ষের সেনা বাহিনীই নিজের নিজের ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। এই এলাকায় বেশ কিছু অস্থায়ী সেনা ছাউনি করা হয়েছিল। এখন সেই কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে এখনও দুই পক্ষই একে অপরের দিকে নজর রাখতে।  

তবে এখনও পর্যন্ত হটস্প্রিং আর দোপসাং ভ্যালি এলাকা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। আগামী দিনে যা আলোচনার বিষয় হবে- তেমনই জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র। তবে দুই পক্ষের আরও আলোচনার প্রয়োজন হয়েছে। আর সেই কারণেই ভারত আর চিন সেনা কর্তাদের কথাবলার জন্য বেশ কটেকটি হটলাইন সক্রিয় করা হয়েছে। 
 

Share this article
click me!