'পথ দেখাচ্ছে বিহার'- বললেন কংগ্রেসের অধীর, লণ্ঠনধারীদের প্রস্তুত হতে নির্দেশ লালু কন্যার

 বিজেপির সম্পর্ক ত্যাগ করে একশো শতাংশ ঘুরে গিয়ে পুরনো জোটসঙ্গী লালু প্রসাদের দল আরজেডির হাত ধরলেন নীতিশ কুমার। যাকে বিরোধীরা বিজেপির হার হিসেবেই দেখছে।

Saborni Mitra | Published : Aug 9, 2022 12:45 PM IST

বিহারে ভেঙে গেল এনডিএ জোট। যে অপারেশন লোটাস বিহার থেকেই ২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল যা ২০২২ সালে মুখ থুবড়ে পড়ল সেই বিহারেই। কারণ বিজেপির সম্পর্ক ত্যাগ করে একশো শতাংশ ঘুরে গিয়ে পুরনো জোটসঙ্গী লালু প্রসাদের দল আরজেডির হাত ধরলেন নীতিশ কুমার। যাকে বিরোধীরা বিজেপির হার হিসেবেই দেখছে।

কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিজেপিকেও যে হারানো যায় দেখাল বিহার। বিহার আগামী দিনে পথ দেখাবে। ছোট রাজনৈতিক দলগুলির মনবল বাড়বে এই বলেও আশা প্রকাশ  করেছেন তিনি। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যে জোট তৈরির সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন অধীর। 

তবে অধীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন সদ্যো দিল্লি সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন। ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন।  ব্য়ক্তিগত সমস্যা মেটাতই তিনি ব্যস্ত ছিলেন বলেও কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি অধীরের অভিযোগ এবার দিল্লি সফরে গিয়ে মমতা কোনও বিরোধী দলের সঙ্গে নেতানেত্রীদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজনও বোধ করেননি। তাতেই স্পষ্ট তিনি কোন পথে হাঁটছেন। পাশাপাশি উপরাষ্ট্র নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন তিনি। 

তবে পাটনায় রীতিমত খুশির হাওয়া। লালু কন্যা রোহীনী আর্য  বলেছেন 'রাজতিলক কা করো তৈয়ারি, আ রহে হ্যায় লণ্ঠনধারী।' সঙ্গে আরজেডির সমর্থকদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি।  বিহারে আরজেডির সমর্থকদের মধ্যে রীতিমত খুশিয়ার হাওয়ায়। 

এদিনই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন নীতিশ কুমার। তারপরই তিনি সোজা চলে যান রাবড়ি দেবীর বাড়িতে। সেখানে আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবের উদ্দেশ্যে  ২০১৭ সালে যা ঘটেছিল তা ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করার প্রস্তাব দেন। নীতিশের এই বক্তব্যের মাধ্যমেই এনডিএ জোট ভেঙে যায়। তবে নীতিশ কুমার অবশ্য তেজস্বীর সঙ্গে তাঁর জোটকে নতুন জোট বলছেন না। মহাগটবন্ধন বলছেন। যে নাম লালুর জমানায় ব্যবহার করা হত। 

ডেরেক ওব্রায়েন টুইট করে বলেছেন, সংসদের অধিবেশন নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ করে দেওয়ার আরও একটি বড় কারণ হল বিহারের রাজনীতি। আর এই জন্য দায়ি অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী। কারণ বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ১২ অগাস্ট। কিন্তু তড়িঘড়ি অধিবেশন শেষ করে দেওয়া  হয়েছে গত ৮  অগাস্ট। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়েরে চার দিন আগে। কেন্দ্রীয় সরকার কারণ হিসেবে বলেছে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল তা সবই হয়েছে। মধ্যে মহরম ও রাখির ছুটি থাকায় সাংসদরা বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই অধিবেশন নির্ধারিত সময়ের আগেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। যা মানতে রাজি নয় বিরোধীরে। প্রথম থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমত সরব হয়েছিলেন ডেরেক। 

আরও পড়ুনঃ

বিহারে পাশা উল্টে গেল বিজেপির, জানুন নীতিশ-তেজস্বীর রাজনৈতিক সমীকরণ

বিহার নিয়ে তীব্র কটাক্ষ, মাত্র চারটি শব্দে বিজেপির সমালোচনা তৃণমূলের দেবাংশুর- সরব হলেন ডেরেকও

কেরলে জঙ্গলের মধ্যে মাটি খুঁড়তেই অত্যাশ্চর্য, বেরিয়ে এল হাজার বছরের পুরনো শিবলিঙ্গ

Read more Articles on
Share this article
click me!