বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড বিহারের সব কটি সরকারি স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে নীতিশ কুমার সরকার। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোল বাঁধল অন্য জায়গায়।
সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণ। কি সেই রাজ্য সরকারের প্রকল্প? সরকারি স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের হাতে তুলে দেওয়া হবে স্যানিটারি প্যাড। যাতে স্কুলে এসে শারীরিক কোনও সমস্যার মধ্যে তাদের পড়তে না হয়। বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড বিহারের সব কটি সরকারি স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে নীতিশ কুমার সরকার। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোল বাঁধল অন্য জায়গায়।
সরকারি (Nitish Kumar government) নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে গিয়ে স্যানিটারি প্যাডের (sanitary napkins) বস্তা পৌঁছল ছেলেদের সরকারি স্কুলেও (boys)। এখানেই শেষ নয়। তা তুলেও দেওয়া হল ছাত্রদের হাতে (sanitary napkins to boys)। এমনই আজব ও হাস্যকর ঘটনা ঘটেছে বিহারের সরন জেলার মানঝি ব্লকের একটি কো-এড স্কুল, হলকোরি শাহ হাই স্কুলে। গোটা ঘটনাটিই অত্যন্ত অনভিপ্রেত বলে স্বীকার করে নিচ্ছেন সবাই। ছাত্রীদের পাশাপাশি, কোন খেয়ালে ছাত্রদের হাতে স্যানিটারি প্যাড তুলে দেওয়া হল বিদ্যালয়ের তরফে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন- 'খোঁজ' মিলল চিনের হাতে অপহৃত ভারতীয় কিশোরের, কী জানালো বেজিং
আরও পড়ুন- ১২৫ তম জন্মদিনে নেতাজিকে শ্রদ্ধা মোদীর, জাতীয় ছুটি ঘোষণার জন্য আর্জি মমতার
আরও পড়ুন- যাবদদের শক্ত ঘাঁটি কারহাল থেকেই যোগীকে চ্যালেঞ্জ, প্রার্থী হতে পারেন অখিলেশ
প্রকল্পের অধীনে তহবিল ব্যবহারের সময় এই গলদগুলি ধরা পড়ে। প্রথম এই অনিয়মগুলি ধরেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট পাঠান। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে ২০১৬-১৭ সালে স্কুলের অন্তত সাতজন ছেলেকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্য তহবিল (প্রতিটি বার্ষিক ১৫০ টাকা) বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই তথ্য তুলে ধরেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার (DEO) অজয় কুমার সিং।
বিষয়টির তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির ফলাফলের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিটি চার দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বারবার সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও কোনওভাবেই এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি বিহারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (শিক্ষা) সঞ্জয় কুমার।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করেছিলেন, ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুটের হার কমাতে, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার উন্নতির জন্য সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে, মুখ্যমন্ত্রী কিশোরী স্বাস্থ্য কার্যক্রম প্রকল্প চালু করেন। অষ্টম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলের মেয়েদের তাদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে বার্ষিক ১৫০ টাকা প্রদান করা হয়। রাজ্য সরকার এই উদ্দেশ্যে বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা খরচ করে। সরকারি স্কুলের প্রায় ৩৭ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে।