উত্তরপ্রদেশের বরেলির সংকেত এবং শুভ-কে দেখে একেবারে দুধের শিশু মনে হলেও, তাদের জন্মের শংসাপত্র বলছে প্রথম জনের বয়স ১০২ আর দ্বিতীয় জনের ১০৪। না, এটা মোটেই তাদের প্রকৃত বয়স নয়। তাদের বয়স যথাক্রমে ২ এবং ৪-ই। কিন্তু গ্রামোন্নয়ন বিভাগের এক কর্মকর্তা এবং এক গ্রামপ্রধানের শয়তানিতেই শংসাপত্রে সংকেত ও শুভ-র ওই অদ্ভূত বয়স লেখা হয়েছে। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বরেলির এক আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছে শাহজাহানপুরের খুতার থানার বেলাগ্রামে। সেই গ্রামের বাসিন্দা পবনকুমার সম্প্রতি আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন, গ্রামোন্নয়ন কর্মকর্তা সুশীল চাঁদ অগ্নিহোত্রী এবং গ্রামপ্রধান প্রবীন মিশ্র-র বিরুদ্ধে। তিনি জানান, তাঁর দুই ভাগ্নে শুভ (৪) ও সংকেতের (২) জন্মের শংসাপত্রের জন্য মাস দুই আগে তিনি অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, ওই সরকারি আধিকারিক ও গ্রামপ্রধান বলে দেন প্রতিটি জন্ম শংসাপত্রের জন্য ৫০০ টাকা করে ঘুষ দিতে হবে।
পবন আদালতে জানান, তাঁরা ঘুষ দিতে রাজি হননি। এরপরই তাঁদের উপর প্রতিহিংসা নেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল তথ্য প্রকাশ করেছেন ওই গ্রামোন্নয়ন বিভাগের কর্তা ও গ্রামপ্রধান। ওই দুই শিশুর জন্মের বছরটি ১৩ জুন, ২০১৬ এবং ৬ জানুয়ারি ২০১৮-র পরিবর্তে যতাক্রমে ১৩ জুন, ১৯১৬ এবং 6 জানুয়ারি ১৯১৮ শংসাপত্রে নথিভুক্ত করা হয়।
পুরো অভিযোগ শুনে বরেলির ওই আদালত খুতার থানাকে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন। খুতার-এর এসএইচও তেজপাল সিং জানিয়েছেন আদালতের জারি করা আদেশের একটি অনুলিপি তাঁরা পেয়েছেন। এবং সেইমতো তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।