মমতাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, আপনি ঠিক কী চাইছেন? রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষ চন্দ্র বসুর বাংলায় এভাবে পরিবর্তন চাইছেন কেন?
'বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানু। দরজায় খটখট করলেই তাদের আশ্রয় দেবে এপার বাংলা।' ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে বলতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন।
রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র দিল্লির রয়েছে। কোনও রাজ্যের নেই। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেছেন, বাংলাদেশে যা হচ্ছে তাতে যদি কেউ এসে তাঁর দরজায় কড়া নাড়েন তবে তিনি সাহায্য করবেন। পশ্চিমবঙ্গে তবে তিনি সাহায্য করবেন। পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দেবেন। মমতাজি আপনি সেই মানুষ যিনি সিএএ র বিরোধিতা করেছেন। অর্থাৎ সমস্যায় থাকা কোনও হিন্দু শিখ, পাসকি বা খ্রিস্টানকে আপনি বাংলায় প্রবেশ করতে দেবেন না। মমতাদি সর্বদাই সিএএর বিরোধিতা করেন। অথচ সিএএ-র সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের কোনও সম্পর্ক নেই। সেই হিন্দু হোক বা মুসলিম।'তারপরই তিনি বলেন, মমতা, অখিলেশ, রাহুল গান্ধী সর্বদাই সংবিধান নিয়ে সরব হচ্ছেন। কিন্তু তাদের জানা নেই সংবিধান অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের নয়, কেন্দ্রের অধীনে পড়ে। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কেন্দ্রীয় সরকারও চায় সমস্যার দ্রুত সমাধান।
মমতাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, 'আপনি ঠিক কী চাইছেন? রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষ চন্দ্র বসুর বাংলায় এভাবে পরিবর্তন চাইছেন কেন? কলকাতার ডেমোগ্রাফিও বদলে দেওয়া হচ্ছে। আমি বাংলায় গিয়ে দেখেছি সেখানে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভিড়। উনি তো দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন নন। NIA তদন্তেও দেখা গিয়েছে, বাংলায় একাধিক দুষ্কৃতীরা আস্তানা নিয়েছে' ।
যদিও রবিশঙ্কর প্রসাদের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ নিয়ে যা বলেছেন, বিজেপি সেটিকে বিকৃত করেছে। যা সম্পর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, মমতা প্রথমেই বলেছিলেন , এটা বাংলাদেশের বিষয় তিনি বলবেন না। কুণাল বলেন, মমতা বলেছেন, কেউ যদি আশ্রয় চায় তাহলে রাষ্ট্রসংঘের নীতি অনুযায়ী তিনি আশ্রয় দেবেন।