২০২১ সালে পুরো মন্ত্রিসভা পরিবর্তিত হয়েছিল- গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপি সরকারবিরোধী তরঙ্গকে পরাজিত করার জন্য কেবল মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবর্তন করেনি, তাদের সাথে রাজ্যের পুরো মন্ত্রিসভাও পরিবর্তন করেছে।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে টানা সপ্তমবার জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। হিমাচল প্রদেশে দেড় শতাধিক আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। রাজ্যে, কংগ্রেস পার্টি মাত্র ১৬ টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে এবং আম আদমি পার্টি ৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। গুজরাট বিধানসভায় অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টরকে হারিয়ে কীভাবে ক্লিন সুইপ করল বিজেপি, তার পিছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি কারণ। জেনে নিন বিশ্লেষণ।
২০২১ সালে পুরো মন্ত্রিসভা পরিবর্তিত হয়েছিল- গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপি সরকারবিরোধী তরঙ্গকে পরাজিত করার জন্য কেবল মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবর্তন করেনি, তাদের সাথে রাজ্যের পুরো মন্ত্রিসভাও পরিবর্তন করেছে। আজকের ফলাফলও বলে দিচ্ছে বিজেপির এই কৌশল কাজ করেছে।
ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- ২০১৭ সালের নির্বাচনের আগে আনামত আন্দোলনের কারণে গুজরাটে বিজেপিকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। গুজরাটে, বিজেপি ৯৯টি আসন জিতে ক্ষমতা বাঁচাতে সফল হয়েছিল, তবে পতিদারদের অসন্তোষ অব্যাহত ছিল। নির্বাচনের আগে, বিজেপি কেবল হার্দিক প্যাটেলকে বিজেপিতে অন্তর্ভুক্ত করেনি, ভূপেন্দ্র প্যাটেলের হাতে ক্ষমতার লাগাম তুলে দিয়ে পতিদারদের শান্ত করার সফল প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। যা রীতিমত প্রভাব ফেলেছে ভোটবাক্সে।
৪১ জন বিধায়কের টিকিট বাতিল
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য, বিজেপি এমন ৪১ জন বিধায়কের নাম টিকিট পাওয়া থেকে বাদ দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল গত পাঁচ বছরে। বিজেপিকেও অনেক জায়গায় বিদ্রোহের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে মোদী ফ্যাক্টর বিজেপির পক্ষে কাজে আসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক জনসভায় আবেদন করেছিলেন যে স্থানীয় প্রার্থীকে দেওয়া ভোট সরাসরি তাকে শক্তিশালী করবে।
এর আগে, ২০০২ সালে ভারতের এই পশ্চিমী রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১২৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। সেটিই ছিল এই রাজ্যে পদ্ম শিবিরের সর্বোচ্চ স্কোর। কিন্তু, ঠিক ২০ বছর পর ২০২২ সালে এসে গুজরাটে পূর্ববর্তী সকল ধারাকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে কেন্দ্রের শাসকদল। তারও আগে, গুজরাটের সর্বোচ্চ আসনসংখ্যার রেকর্ড রয়েছে কংগ্রেসের হাতে। ১৯৮৫ সালে মাধব সিং সোলাঙ্কির নেতৃত্বে কংগ্রেস ১৪৯টি আসনে জিতে সর্বকালের রেকর্ড গড়ে তুলেছিল গুজরাট রাজ্যে।
গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এবার অনেকেই বিজেপি-র পক্ষে বাজি ধরা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। এঁদের সকলেরই মত ছিল যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি যে খেল পঞ্জাবের নির্বাচনে দেখিয়েছে, ঠিক তেমনি কোনও আশ্চর্য ম্যাজিক ঘটতে চলেছে গুজরাটের বুকে।