পাকিস্তান ইচ্ছে করেই ২০০৩ সালে সংঘর্ষ বিরতি চুক্ত লঙ্ঘন করেছিল। পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানো। রবিবার আরও একবার তেমনই জাবি করলেন এক বিএসএফ আধিকারির। বিএসএফ এর শীর্ষ আধিকারিকের কথায় পাকিস্তান কোনও কারণ ছাড়াই ভারী সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ ভারতকে প্ররোচিত করেছিল। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। আর সেই সময়ই পাক হামলায় বিএসএফ জওয়ান রাকেশ ডোভাল পাকিস্তানের গুলিতে শহিদ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএসএফ শীর্ষ কর্তা রাজেশ মিশ্র। নিহত বিএসএফ কর্মীর পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
বিএসএফ শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন ভারতী সেনা ও সীমা সুরক্ষা বল পাকিস্তানের সমস্ত ছক বানচাল করেছেন। কারণ রাজেশ মিশ্রের কথায় পাকিস্তান রীতিমত ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পাল্টা ভারতও পাকিবাহিনীকে লক্ষ্য করে অস্ত্র চালায়। তাতে পাকিস্তানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছএ পাক বাহিনীর মাধ্যমে। তেমনই অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, পাক বাহিনীর ছোঁড়া গুলি গোলায় ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। আর তাতেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিএসএফ কর্তা এদিন অভিযোগ করেন সীমান্তবর্তী জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলির প্রত্যেকটিতে ২৫০-৩০০ জঙ্গি মোতায়েন রয়েছে। সেইসব জঙ্গি যাতে ভারতে প্রবেশ করতে পারে তারজন্যই যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছিল পাকিস্তান। তবে ভারত জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাডগুলিরও ক্ষতি পরেছে বলে একটি সূত্র দাবি করছে।
গত ১৩ নভেম্বর উরি, গুরেজ ও কেরান সেক্টরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনস করে ব্যাপক গোলাগুলি চালায় পাকিস্তান। ভারতের অভিযোগ জঙ্গি অনুপ্রবেশের জন্যই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছিল। পাকিস্তানের হামলার বিএসএফ জওয়ানসহ ৫ সেনা জওয়ান নিহত হয়। সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী ৬ নাগরিকেরও মৃত্যু হয় পাক হামলায়। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ব্যপক ক্ষতি হয়েছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দেয় ভারত। পাকিসেনাবাহিনী ৭-৮ জন নিহত হয়েছে বলেও দাবি করা হয় ভারতের পক্ষ থেকে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি পাকিস্তান।