পদ্ম কি তাঁকে 'সুভাষিত' করবে, ভোট লড়াইয়ে না থেকেও রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

  • মধ্য প্রদেশে উপনির্বাচন ২৮টি কেন্দ্রে 
  • ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার 
  • লড়াইয়ের সামনের সারিতে ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য 
  • ১-টি রাজ্যে ৫৪টি আসনে হচ্ছে উপনির্বাচন

Asianet News Bangla | Published : Nov 3, 2020 5:53 AM IST

বিহারে যেমন তেজস্বী যাদবের ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে তেমনই মধ্যপ্রদেশে ভাগ্যপরীক্ষা হচ্ছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ২৮টি বিধানসভা আসনে উপনির্বচন।  কংগ্রেসে থাকাকালীন যে করিশ্মা দেখিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগদানের পরেও তা অব্যাহত রয়েছে কিনা সেটাই এখন দেখার। উপনির্বাচনে তাঁকেই সামনের সারিতে রেখেছিল বিজেপি। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও ভোট প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। এদিন নিজের কেন্দ্র গোয়ালিয়রে ভোট দেন বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। 


চলতি বছর মার্চ মাসে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিধায়কও দলবদল করেন। আর সেই কারণে ক্ষমতা দখলের মাত্র ১৫ মাসের মধ্যেই পতন হয় কমল নাথের সরকারের। আর উপনির্বাচনের অধিকাংশ আসনই সিন্ধিয়াদের গড় হিসেবে পরিচিত গোয়ালিয়র ও চম্বল এলাকায় রয়েছে। আর সেই কারণেই সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন, তাঁর দিকে। লক্ষ্যে একটাই কতগুলি আসন জিতিয়ে আনতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য। কারণ দলবলের সময় তাঁর প্রায় সব দাবি মেনে নিয়েছিলেন বিজেপি। তাঁর অনুগামীদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে সংসদেও পাঠিয়েছেন। এবার কিন্তু তাঁর ফিরিয়ে দেওয়ার পালা।  চলতি উপনির্বাচনে আটটি আসন দখল করতে পারলে এযাত্রায়  বেঁচে যাবে শিববার চৌহানের সরকার। তবে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফিরতে গেলে অনেকগুলি আসনের প্রয়োজন রয়েছে। ২৮টি আসনে উপনির্বাচনের জন্য ১২ জন মন্ত্রীসহ মোট ৩৫৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ভোট গ্রহণ হচ্ছে ১৯টি জেলায়। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে তিন হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন রাখা হয়েছে। 


নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হচ্ছে, ভোট গ্রহণের শেষ ঘণ্টাটি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে শিবরাজ চৌহান বলেছেন ভোটদান হল গণতন্ত্রের আত্মা। সরকার গঠনের ক্ষমতা প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আত্মনির্ভর মধ্য প্রদেশ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ভোটারদের কাছে। মধ্য প্রদেশ বিধানসভার উপনির্বাচন মূলত কংগ্রেস-বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বীতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি আসনে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির উপস্থিতিতে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিহারের সঙ্গে মধ্য প্রদেশেরও ভোট ফল প্রকাশ হবে আগামী ১০ নভেম্বর । এদিন ১০টি রাজ্যে ৫৪টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। 

Share this article
click me!