'নির্মলা চাইলে উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত হাঁটতে রাজি আছি', নাটকবাজ প্রসঙ্গে মন্তব্য রাহুলের

নির্মলা সীতারমনকে নিশানা করছেন রাহুল গান্ধী
নাটকবাজ প্রসঙ্গে মন্তব্য অর্থমন্ত্রী যা ইচ্ছে তা বলতেই পারেন 
কেন্দ্র অনুমতি দিলে উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত হাঁটতে রাজি বলেও জানিয়েছেন রাহুল
প্রয়োজনে ১০ -১৫ জন প্রবাসী শ্রমিকের মালপত্র বহন করতেও রাজি আছেন তিনি 
 

Asianet News Bangla | Published : May 26, 2020 9:42 AM IST

২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার শেষ দিনে রাহুল গান্ধীকে রীতিমত নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ওয়াইনাডের কংগ্রেস সাংসদকে নাটকবাজ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। দিল্লিতে রাস্তায় নেমে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধী। তার এই কাজের জন্য বিজেপির তরফে রীতিমত সমালোচনা শুনতে হয়েছিল কংগ্রেস সাংসদকে। কিন্তু রাহুল এতদিন পুরোপুরি মুখ বন্ধ করেছিলেন। প্রায় সপ্তাহখানের পরে নির্মালা সীতারমনকে নিশানা করেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁর উত্তর দিলেন রাহুল গান্ধী। এদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর যা মনে হয়েছে তা তিনি বলতেই পারেন। এটা সম্পূর্ণ তাঁর মতামত। পাশাপাশি তিনি পরিষ্কার করে দেন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশের দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাঁদের যন্ত্রণার কথা শোনা। 

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের দুঃখ, সমস্যা আর যন্ত্রণা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই দিল্লির রাস্তায় নেমে কথা বলেছিলেন তাঁদের সঙ্গে। যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে ওঁদের কথা। ওঁদের মনে কী রয়েছে তা জানার সামান্য একটা প্রচেষ্টা করেছিলেন তিনি। এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ওঁরা কী ভাবে দিন কাটাচ্ছেন তা জানতে চেয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাঁকে অনুমতি দেন তাহলে ওঁদের বোঝা নিয়ে হাঁটতে রাজি আছেন। তবে একজনের নয় একসঙ্গে ১০ ১৫ জনের বোঝার ভার ওঠাতেও কোনও আপত্তি নেই তাঁর। পাশাপাশি রাহুল নির্মলা সীতারমনকেও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, তিনি যা বলেছেন তা সম্পূর্ণই তাঁর মতামত। আরও বলেছেন, নির্মলা যদি তাঁকে অনুমতি দেন, তাহলে উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত হেঁটে প্রবাসী শ্রমিকদের সাহায্য করতে  রাজি তিনি। 


মঙ্গলবার সংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর তিনি যে তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন,  তার ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাহুলের কথায় ওঁরাই আমাদের আগামী দিনের শক্তি। এখন যদি আমরা প্রবাসী শ্রমিক, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারি তাহলে আগামী দিনে ওঁদের থেকে আমরা কিছুই আশা করতে পারব না। ঝাঁসি ও হরিয়ানা থেকে আগাত শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি প্রচার করা হচ্ছে ১৬ মিনিটের সেই তথ্যচিত্র। যেখানে রাহুল প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, আর তুলে ধরেছেন তাঁদের যন্ত্রণা। এখনও রাহুল গান্ধী দাবি জানিয়েছেন অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যেক দরিদ্র মানুষকে সাড়ে সাত হাজার টাকা দিক কেন্দ্রীয় সরকার। 

লকডাউনের প্রথম থেকেই রাহুল গান্ধী প্রবাসী শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষের পক্ষ নিয়ে সওাল করছেন। লকডাউনের কারণে প্রথম থেকেই ধাক্কা খেতে হয়েছিল অবিবাসী শ্রমিক আর দিনমজুরদের। হঠাৎ করেই কাজ হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। এই অবস্থা বাড়ি ফেরার পথও পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তাই প্রথম থেকেই রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রবাসী শ্রমিক ও দেশের দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধীর অভিযোগ তাঁর কথায় নূন্যতম কর্ণপাত করেনি সরকার। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ লকডাউন পুরোপুরে ব্যর্থ হয়েছে। তাই কেন্দ্রের পরবর্তী পদক্ষেপ কী তাও তিনি জানতে চেয়েছেন। 
 

Share this article
click me!