নব্বই সালে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন, এবার নিজে শহিদ হয়ে ১৭৩ জনকে বাঁচালেন সাঠে

  • এর আগেই বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন দীপক সাঠে
  • বিমান বাহিনীতে থাকার সময় দুর্ঘটনা ঘটে
  • ৬ মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল
  • মনের জোরকে সঙ্গী করেই ফের বিমান নিয়ে আকাশে ভেসে পড়েন

Asianet News Bangla | Published : Aug 8, 2020 10:09 AM IST / Updated: Aug 09 2020, 12:56 PM IST

শুক্রবার রাতে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারত। বিদেশ থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার মিশনেই এই দুর্ঘটনা। দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল ভারতীয়দের। কোঝিকোড়ে রানওয়েতে অবতরণের সময় ভেঙে দু’টুকরো হয়ে যায় সেই বিমান। মৃত্যু হয় পাইলট, কো-পাইলট সহ বিমানের ১৮ জন যাত্রীর।

আরও পড়ুন: উদ্ধার বিমানের ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, ভেঙে পড়ার আগে বারবার আকাশে চক্কর

অভিশক্ত এই বিমান কিন্তু ছিল বায়ু সেনার প্রাক্তন ফাইটার পাইলট দীপক ভি সাঠের । ভারতীয় বায়ু সেনার ডেকরেটেড এই অফিসার অবসর নেওয়ার পর তিনি বেশ কিছুদিন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট পদে কাজ করেছেন। তার পর  যোগ দেন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানে। ন্যাশনাল ডিফেন্স আকাডেমি থেকে পাশ করা উইং কমান্ডার দীপক খুবই পোড় খাওয়া পাইলট ছিলেন এবং বোয়িং ৭৩৭ বিমান ওড়ানোয় দক্ষ ছিলেন।

আরও পড়ুন: কোঝিকোড়ে শেষ হল উদ্ধার কাজ, দুর্ঘটনাস্থলে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল, সমবেদনা জানাল আমেরিকাও

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিলেন এই দক্ষ পাইলট। প্রয়াত পাইলটের তুঁতো ভাই নীলেশ সাঠে জানান, ১৯৯০ সালে বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন দীপক সাঠে। সেই সময় প্রায় ৬ মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিলেন তাঁকে। ফের ককপিটে বসতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সন্দিহান ছিলেন চিকিৎসকরা। তবে মনের জোড়ে ভর করেই আবার আকাশে ওড়েন দীপক।

 

এলআইসির প্রাক্তন ডিরেক্টর তথা আইআরডিএআই-এর সদস্য নীলেশ সাথে নিজের ফেসবুকে জানান, বন্দে ভারত মিশনের অঙ্গ হতে পারায় দীপক সাঠে গর্বিত ছিলেন। এক সপ্তাহ আগেই দু'জনের কথা হয়েছিল, সেখানে নীলেশের  বন্দে ভারত মিশন নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন দীপক। জানিয়েছিলেন, বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে খালি প্লেন নয়, বরং সেখানে ফল, ওষুধ নিয়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। সেটাই ছিল দুই ভাইয়ের শেষ কথা। 

 

 

ক্যাপ্টেন দীপক ভি সাঠে ন্যাশনাল ডিফেন্স আকাডেমির ৫৮তম ব্যাচের ছিলেন। জুলিয়েট স্কোয়াড্রনে ছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালের জুন মাসের হায়দরাবাদের এয়ার ফোর্স আকাডেমি থেকে পাশ করেন সোর্ড অফ অনার নিয়ে। দারুণ পাইলট হওয়ার পাশাপাশি অসাধারণ স্কোয়াশও খেলতেন তিনি। 


 

Share this article
click me!