সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক ইউনিয়নগুলিকে জানিয়েছেন এমএসপি বা নূন্যতম সহায়ক মূল্য ইস্যুতে একটি কমিটি গঠন করবে।
১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা কৃষক আন্দোলন (Farmer Protest) অবশেষে প্রত্যাহারের পথে। সূত্রের খবর মঙ্গলবারই কৃষকদের লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মেনে নেওয়া হবে তাদের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের আশ্বাস (MSP)। কেন্দ্রের তরফ থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে একটি লিখিত খসড়াও পাঠান হয়েছে। তারপরই পরই কৃষকদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করছেন। একটি সূত্র বলছে অবিলম্বেই কৃষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেবেন।
সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক ইউনিয়নগুলিকে জানিয়েছেন এমএসপি বা নূন্যতম সহায়ক মূল্য ইস্যুতে একটি কমিটি গঠন করবে। কমিটিতে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারের আধিকারিকদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ও সম্মিত কৃষাণ মোর্চা, কৃষক ইউনিয়নগুলির প্রতিনিধিরাও থাকবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত পুলিসি মামলা প্রত্যাহার করতেও রাজি হয়েছে। পাশাপাশি খড় পোড়ানোর জন্য যেসব কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধেও সমস্য় মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানায় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হওয়া আন্দোলনকারী কৃষকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও সমস্ত অভিযোগ ও মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়ে বলেও আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও কেন্দ্র জানিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকরা অবস্থান বিক্ষোভ থেকে সরে না গেলে পুলিশ কেস প্রত্যাহার করা হবে না। তাই আগামী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবাদী কৃষকদের তোলা সমস্যাগুলির বিষয়ে একটি লিখিত খসড়া পাঠিয়েছে। সেই খসড়াতেই আন্দোলন প্রত্যাহারের আবেদন জানান হয়েছে। কৃষকদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রের পাঠান খসড়া নিয়ে আলোচনায় বসেছে বলেও সূত্রের খবর। কৃষকদের পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সম্মিত কিষাণ মোর্চা কৃষক সংগঠনগুলি থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তৈরি হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত সেই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আলোচনা করে নেমেন।
সূত্রের খবর বর্তমানে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী আন্দোলনরত অবস্থায় মৃত কৃষকদের জন্য ক্ষতিপুরণ দাবি করেছেন। একটি দাবি জানিয়েছিল আন্দোলনকারী কৃষকরাও। কিন্তু কেন্দ্রের পাঠানো খসড়ায় সেই বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। যদিও সংসদে সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনরত অবস্থায় কত কৃষকের মৃত্যু হয়েছে সেই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই। তবে কৃষকদের দাবি গত ১৫ মাসে প্রায় ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ইস্তফার দাবিতেও সরব হয়েছিল কৃষকরা। কিন্তু কেন্দ্রের পাঠান খসড়ায় সেই বিষয়েও কোনও উল্লেখ নেই বলেও সূত্রের খরব। সংসদের অধিবেশ শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী গুরুনানকের জন্মদিনে ঘোষণা করেছিলেন তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। পাশাপাশি কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরই এমএসপিসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে সরব ছিলেন কৃষকরা।
Solid Waste Management: স্বচ্ছ ভারত পরিকল্পনায় আরও এক ধাপ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর
No UPA: রাহুল গান্ধী-সঞ্জয় রাউত বৈঠক, মমতার 'ইউপিএ নেই' বিতর্কের মধ্যে কোন পথে কেন্দ্রীয় রাজনীতি