পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। সেইকারণে যেকোনও সময়ই হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা দ্রুত বাড়তে পারে। রাজ্যগুলিকে এখন থেকেই হাসপাতাল পরিষেবার ওপর জোর দিতেও বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গে (Coronavirus Third Wave) ভারতের হাসপাতালগুলিতে এখনও পর্যন্ত ভর্তির হার ৫-১০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে মে মাসে ডেল্টার (Delta) মাধ্যমে যখন দ্বিতীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছিল তখন হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ২০-২৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড (Covid-19) সংক্রমণ নিয়ে আরও একবার সতর্ক করেছে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্রের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে পরিস্থিতি গতিশীল ও যেকোনও সময়ই দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। সেই কারণে রাজ্যগুলিকে হোম আইসোলেশন ও হাসপাতালের উপর বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। সেইকারণে যেকোনও সময়ই হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা দ্রুত বাড়তে পারে। রাজ্যগুলিকে এখন থেকেই হাসপাতাল পরিষেবার ওপর জোর দিতেও বলা হয়েছে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এদিন সতর্ক করে বলা হয়েছে যদি ১০০ জন ডেল্টায় আক্রান্ত হন তাহলে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০-৫০০ হতে পারে। কিন্তু সেখানে দ্বিতীয় তরঙ্গে ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ১২০ - ২৫০ জন। ওমিক্রন ও ডেল্টার একসঙ্গে উপস্থিতি নিয়েও স্বাস্থ্য সচিব উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০০ হাজার।
দিল্লি ও মুম্বই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বেশিরভাগ মানুষেরই কোভিডের ছোটখাট লক্ষণ ছিল। তারা বাড়িতে থেকেই দ্রুত সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে অক্সিজেন, শয্যা ও ভেন্টিলেটরের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করার কথা বলেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবাকর্মী, জুনিয়র ডক্টর নিয়োগ করার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলেছে দ্বিতীয় তরঙ্গ থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় তরঙ্গ মোকাবিলার ব্যবস্থা করা জরুরি। সেই কারণে আগে থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা ঢেলে সাজানোর ওপর জোর দিয়েছেন তারা। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একটি বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন।
দ্বিতীয় তরঙ্গের করোনা আক্রান্তদের তুলনা করতে গিয়ে চিকিৎসক ধীরেন গুপ্তা বলেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্বিতীয় তরঙ্গের বিপরীত। ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর স্বাদ ও গন্ধের ক্ষতি হয় না। তিনি আরও বলেছেন ১০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন আক্রান্ত স্বাদ ও গন্ধ পাচ্ছেন না। বাকিদের এজাতীয় কোনও সমস্যা নেই। তিনি বলছেন এটাই প্রমাণ করে যে ডেল্টা ও ওমিক্রনের ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ঠ্যগুলি ওভারল্যাপিং করছে।
COVID-19 Rules: কোভিড নিয়মভঙ্গের অভিযোগ, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি
Assembly Election 2022: পঞ্জাবে কংগ্রেসের আশার আলো সোনু সুদের বোন মালবিকা, উত্তর প্রদেশে জোর ধাক্কা
Child's Covid Symptoms : শিশুদের কোভিড সংক্রমণের লক্ষণ, বিস্তারিত জানালেন চিকিৎসক