পুলিশের গুলিতে মরেনি একজনও, কাশ্মীর থেকে সেনা সরছে অসমে

  • জম্মু-কাশ্মীর থেকে সেনা সরিয়ে পাঠানো হচ্ছে অসমে
  •  আপাতত উপত্যকা থেকে আধাসেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র
  • জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে রয়েছে বলেই এই সিদ্ধান্ত
  • ১০কোম্পানি সিআরপিএফ রওনা দিয়েছে ইতিমধ্য়েই

 

Asianet News Bangla | Published : Dec 12, 2019 12:05 PM IST


জম্মু-কাশ্মীর থেকে সেনা সরিয়ে পাঠানো হচ্ছে অসমে। আপাতত উপত্যকা থেকে আধাসেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে রয়েছে বলেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

১০কোম্পানি সিআরপিএফ রওনা দিয়েছে ইতিমধ্য়েই। উপত্যকা থেকে সরিয়ে এই বাহিনী পাঠানো হচ্ছে অগ্নিগর্ভ অসমে। জানা গেছে, একটি বিশেষ ট্রেনে এই বাহিনীকে উত্তরপূর্বে পাঠানো হয়েছে। আাগমী দিনে আরও ১০ কোম্পানি আধা সামরিক  বাহিনী পাঠানো হবে অসমে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যেই মণিপুরে সাত কোম্পানি কোম্পানি সিআরপিএফ-কে অসমের জন্য নিয়োগ করেছে। 

গত অগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগেই বিশাল আধা সামরিক বাহিনী পাঠানো হয় জম্মু-কাশ্মীরে। বিরোধীরা যাই দাবি করুক না কেন, উপত্যকায় পুলিশের গুলিতে একজনেরও প্রাণহানি হয়নি বলে দাবি করেছে সরকার। সূত্রের খবর, ভূস্বর্গের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় উত্তপ্ত অসমে এই আধাসামরিক বাহিনীকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতির বিষয়ে ইতিমধ্যেই সংসদে জবাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যেখানে বিরোধীদের প্রশ্নর উত্তরে বলা হয়েছে, উপত্যকাকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর সব মিলিয়ে ১৯৭ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্য়ে সন্ত্রাসবাদী হানায় তিন নিরাপত্তারক্ষী ও ১৭জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গি হানায় আহত হয়েছেন ১২৯ জন। 

বুধবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের আগুন ছড়িয়েছে অসমে। উত্তরপূর্বের রাজনীতিতে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বুধবার। যেখানে বিলের বিরোধিতার জেরে আক্রান্ত হয়েছে খোদ মুখ্য়মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের বাসভবন। ডিব্রুগড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পাথর ছোঁড়ে ক্যাব বিরোধীরা। বিক্ষোভকারীদের ভয়ে থানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন গহপুরের বিজেপি বিধায়ক উৎপল বরা। এর আগে হামলা হয় গুয়াহাটির বিজেপি সাংসদ কুইন ওঝার বাড়িতে।ডিব্রুগড়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি।  

রণক্ষেত্রে দিনের শুরুতেই দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল থেকে শুরু করে আক্রান্ত বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বাতিল করা হয়ছে ২১টি ট্রেন। গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে বাতিল একাধিক বিমান পরিষেবা। অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন-সহ একাধিক ছাত্র সংগহনের যৌথ মঞ্চ নর্থইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন ডাকা বন্ধে সোমবার ও মঙ্গলবার অসমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। যার জেরে লাগাতার পুলিশের সঙ্গে বুধবার সংঘর্ষ বাঁধে বিল বিরোধীদের। সেই কারণেই তড়িঘড়ি উত্তরপূর্বে আধাসেনা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।  অসমের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

Share this article
click me!