শুধু দেশীয় প্রযুক্তি নয়, চন্দ্রযান ২ এর পরীক্ষা চলছে দেশের মাটিতেই

  • কৃত্রিম ভাবে সৃষ্ট পরিবেশে চলছে চন্দ্রযান ২ এর শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা
  • সালেমের অ্যানর্থোসাইট মাটিতে চলছে পরীক্ষা
  •  মূল গবেষণার দায়িত্বে বেঙ্গালুরু ইউ আর এস সি
  • বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা

আর মাত্র কয়েকটি ঘণ্টার অপেক্ষা। উড়ান জমাতে চলেছে চন্দ্রযান ২। তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ ও যে চাঁদে পদার্পণ করতে পারে তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ ভারতবর্ষ। আশাতীত সাফল্য লাভ করেছিল চন্দ্রযান ১ অভিযান। এবার বাজিমাতের পালা তার দ্বিতীয় সংস্করণের। সাধারাণত নতুন তৈরি কোন গাড়ির টেস্ট ড্রাইভ করা হয় সেই সমস্ত রাস্তায় যেখানে সেটি আগামী দিনে চলবে। নতুন তৈরি কোন বিমানের পরীক্ষা চালানো হয় আকাশে। কিন্তু চাঁদে পাড়ি জমাবে যেই গাড়ি, সেটিকে পরীক্ষামূলক ভাবে কোথায় চালানো যেতে পারে ভেবেই আকুল ছিলেন বৈজ্ঞানিককূল। অবশেষে মিলল উপায়! তামিলনাড়ুর সালেম অঞ্চলের মাটির সঙ্গে আশ্চর্য মিল চাঁদের মাটির। সেখান থেকে মাটি নিয়ে এসে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে চন্দ্রযান ২-এর। 
প্রায় এক দশক আগে চন্দ্রযান ১ অভিযানের সময় ইসরো ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানের কথা মাথায় রেখে বেঙ্গালুরুতে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করে। সেই গবেষণা কেন্দ্রের মূল কাজ চাঁদের অনুরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করে গবেষণা চালানো। সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সবার আগেই দরকার পড়ল লুনার সয়েল বা চাঁদের মাটির অনুরূপ মাটি। তার সঙ্গেই প্রয়োজন অনুরূপ তাপমাত্রা, অনুরূপ সূর্যালোক এবং চাঁদের সমতুল্য মহাকর্ষণ বলের। বাকি ফ্যাক্টরগুলি কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা গেলেও চাদের মাটি কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা সম্ভবপর নয়। 
তারফলে বিজ্ঞানীদের সামনে একটি উপায় ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লুনার সয়েল কেনার। যেহেতু বেঙ্গালুরুর ইউ আর এস সি পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য প্রায় ৬০-৭০ টন মাটির প্রয়োজন, ১৫০ ডলার প্রতি কিলো মূল্যের সেই মাটি বিপুল পরিমাণে কেনা অর্থনৈতিক ভাবে ব্যায়বহুল। প্রথমে স্বল্প পরিমাণে সেই মাটি আমদানি করলেও, খুব তাড়াতাড়ি ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বিকল্পের সন্ধান শুরু করেন। 
এম আন্নাদুরাই, বেঙ্গালুরু পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রাক্তন ডিরেক্টর জানিয়েছেন যে ভূ-তাত্বিক রা তামিলনাড়ুর সালেমের কাছে অ্যানর্থোসাইট পাথরের সন্ধান পান- যার বৈশিষ্ট অবিকল চন্দ্রপৃষ্টের মত। এই আবিষ্কার ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের কাছে লটারি পাওয়ার সামিল। পার্শ্ববর্তী  সিথামপুন্ডি এবং  কুন্নামালাই গ্রাম থেকে  বিপুল পরিমাণে পাথুরে মাটি নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুর ইউ আর এস সি গবেষণা কেন্দ্রে। সেই পাথুরে মাটিতেই মহড়া দিয়েছে চন্দ্রযান ২। 
মোট ২৫ কোটি টাকা ব্যায়মূল্যের এই প্রজেক্টটিতে এন আই টি তিরুচি, পেরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, বেঙ্গালুরু আই আই এস প্রভৃতি প্রথম সারির শিক্ষাকেন্দ্রের গবেষকরা বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

বাংলাদেশে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মারধরে আপনি চুপ কেন? মমতাকে প্রশ্ন Adhir Ranjan Chowdhury-র
Election Commission Live : বিধানসভা নির্বাচন কবে দিল্লিতে? ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের
'আখতার আলীর চরম সর্বনাশ করবে তৃণমূল', আশঙ্কা প্রকাশ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর | Adhir Ranjan Chowdhury
'আমি যার দিকে তাকাই সে ধ্বংস হয়ে যায়' নন্দীগ্রামে চরম হুমকি শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari Nandigram
সন্ধ্যা হতেই ভয়ে কেউ বেরচ্ছে না! কুলতলির বাঘ এখন কোথায় জানেন! দেখুন | Kultali Tiger Video