বিদেশের পর এবার দেশেও করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে সমস্যা দেখা দিল। চেন্নাই এক স্বেচ্ছাসেবক অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিধেক কোভিশিল্ডের পরীক্ষা, উৎপাদন ও বিতরণ অবিলম্বে বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দাবি করেছেন।ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তিনি করোনা টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও দাবি করেছেন।
গত পয়লা অক্টোবর চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ৪০ বছরের ব্যবসায়ী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কোভিশিল্ড টিকা গ্রহণ করেছিলেন। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে তাঁকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। টিকা করণের পর থেকেই স্নায়বিক ও মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। আর সেই কারণেই ক্ষতিপুরণ দাবি করেছেন তিনি।
ড্রাগস কন্ট্রলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া ও এথিক্স কমিটি স্বেচ্ছাসেবীদের সমস্যাগুলি পরীক্ষা করা করে দেখেছে। সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবীর বিষয়টি এখনও বিচার প্রক্রিয়ার অধীন রয়েছে। তবে প্রতিষেধকে অনুমোদন না দেওয়ার জন্য তিনি আইসিএমআরের প্রতিও আহ্বান জানিয়এছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি আইসিএমআর। আক্রান্ত ব্যক্তি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রোজেনেকাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্টোজেনেকার বিকাশ করা এই প্রতিষেধক তৈরির জন্য চুক্তি করেছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট।
হায়দরাবাদে গিয়ে কৃষক বিক্ষোভ ইস্যুতে সরব অমিত শাহ, তোপ দাগলেন টিআরএস আর মিমের বিরুদ্ধে ...
কেন সামিল হয়েছেন আন্দোলনে সেটাই জানেন না বিক্ষুব্ধ কৃষকরা, তবে রয়েছে লম্বা প্রস্তুতি ...
তিনি বলেছেন গত পয়লা অক্টোবর তাঁকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছিল। তার দশ দিন পর থেকেই তাঁর প্রবল মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়। তিনি বমি করতে শুরু করেন। তারপরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। তাঁকে পরিবর্তিত মানসিক অবস্থার মধ্যে আনা হয়েছিল। তিনি দিশেহারা হয়েপড়েছিলেন। চিকিৎসার পর তাঁকে ২৬ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে স্বেচ্ছাসেবীর স্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি তাঁর স্বামী। হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন তিনি। কাজ করতে পারেন না। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরিমর্শ গ্রহণ করা হয়েছিল। নোটিশে দাবি করা হয়েছিল হাসপাতালের ডিসচার্জ লেটারে সংক্ষিপ্তসার অনুযায়ী ওই ব্যক্তি তীব্র এনসেপালোপ্যাথিতে ভুগছিলেন। নোটিশে দাবি করা হয়েছে প্রতিষেধকের এই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার এক মাস পরেও কোনও সংস্থাই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি।