Bridge On Pangong: প্যাংগং লেকের ওপর চিনা ব্রিজ তৈরি বেআইনী-কড়া বার্তা নয়াদিল্লির

নয়াদিল্লি এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে চিন ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে, এমন আশা করে ভারত। আরও জানানো হয়েছে এই সেতুটি এমন এলাকায় নির্মিত হচ্ছে যেগুলি ১৯৬২ সাল থেকে চিন অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে। 

Parna Sengupta | Published : Feb 4, 2022 4:50 PM IST

পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) প্যাংগং হ্রদ (Pangong) জুড়ে চিন যে সেতু (Chinese Bridge) তৈরি করেছে, তার নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনী। অবৈধভাবে দখলকৃত (Illegal Occupation) এলাকায় এই ব্রিজ তৈরি করছে চিন। শুক্রবার ঠিক এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে চিন ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে, এমন আশা করে ভারত। আরও জানানো হয়েছে এই সেতুটি এমন এলাকায় নির্মিত হচ্ছে যেগুলি ১৯৬২ সাল থেকে চিন অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে। 

নয়াদিল্লি এদিন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে ভারত সরকার কখনই এই অবৈধ দখলকে মেনে নেয়নি। সরকার বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে স্পষ্ট করেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা আশা করি অন্যান্য দেশগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে। ৮ মিটার চওড়া ব্রিজটি প্যাংগংয়ের উত্তর তীরে একটি চিনা সেনা ফিল্ড ঘাঁটির ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত। এই এলাকায় ২০২০ সালে ভারতীয় এবং চিনা সৈন্যদের মধ্যে অচলাবস্থার সময় চিনা ফিল্ড হাসপাতাল এবং সৈন্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 

২০২০ সাল থেকে, বিশেষ করে গালওয়ান নদী এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষের পরে যেখানে কর্তব্যরত অবস্থায় ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন, উভয় পক্ষের ৫০ হাজারের বেশি সেনাকে পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়। ডেপসাং সমভূমি থেকে উত্তরে আরও দক্ষিণে ডেমচক এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়। 

কেন্দ্র শুক্রবার জানিয়েছে দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় তিনটি মূল বিষয় বজায় রাখা উচিত। ১. উভয় পক্ষেরই কঠোরভাবে LAC-কে সম্মান করা ২. কোন পক্ষই একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে না, ৩. উভয় পক্ষের মধ্যে সমস্ত চুক্তি অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে

উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে বিজেপি-র উপর ফের চাপ বাড়াচ্ছে কৃষকরা, অস্বস্তিতে যোগী ব্রিগেড

UP Digital Campaign: বিজেপির থ্রিডি প্রযুক্তি, কংগ্রেস-সপার সোশ্যাল মিডিয়া - ডিজিটাল যুদ্ধ 

উল্লেখ্য, গত বছর, ভারতীয় সেনা প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ তীরে মূল কৈলাস রেঞ্জের উপরে চলে গিয়েছিল বলেই এই অঞ্চলে চিনা পিএলএ বাহিনীর থেকে এগিয়ে যেতে পেরেছিল। এই সেতুটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না। বিতর্কিত এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করার জন্য একাধিক রাস্তা পাবে চিন।

ভারত ও চিনের সিনিয়র কমান্ডারদের মধ্যে শেষ দফা আলোচনা ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারা সম্মত হয়েছিল যে উভয় পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি পুনরুদ্ধার করে, অবশিষ্ট সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য কাজ করবে। তবে চিন যে সেই কাজ করছে না, তা পরিষ্কার। 

Share this article
click me!