কূটনৈতিক বৈঠকের পিছে চলছে সমরসজ্জাও, অরুণচল-সিকিম আর উত্তরাখণ্ড সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চিন

  • প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরাতে রাজি দু’দেশ 
  • সীমান্ত নিয়ে ভারত চিন কূটনৈতিক বৈঠক সদর্থক দাবি করা হচ্ছে
  • তারপরেও চিনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে
  • যুদ্ধ সরঞ্জাম সহ সীমান্তে সেনা আরও বাড়াচ্ছে লাল ফৌজ

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুন হওয়া সংঘর্ষের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভারত ও চিনের পারস্পরিক সম্পর্ক। যদিও দুই দেশ বিশ্বের সামনে কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের কথাই বলছে। সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের সেনা কর্তাদের মধ্যে গালওয়ানে একাধিকার বৈঠকও হয়েছে। এমনতি ভিডিও কনফারেন্সে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীরাও। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তাপ কমাতে বুধবার চিন ও ভারতের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বৈঠকও করেছেন। সেই বৈঠক সদর্থক বলেই দাবি করা হচ্ছে। যদিও চিনের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Latest Videos

 

সম্প্রতি উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুন হওয়া সংঘর্ষস্থলের কাছে বড় মাপের নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে চিন। যদিও দু’দিন আগেই দু’দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরাতে রাজি হয়েছে। এই অবস্থায় প্রাক্তন সেনা কর্তারা আশঙ্কা করছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চিনা সেনারা ক’দিন পরেই হয়তো সরে যাবে, কিন্তু চিনা আর্মি  ভারতের যে অংশ দখল করে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে, তা থেকে সরে আসবে কি না, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।   

আরও পড়ুন: হংকংবাসীর স্বাধীনতাতেও হস্তক্ষেপ চিনের, নয়া আইনে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন জিনপিংয়ের

গত ২০ জুন গালওয়ান নদী উপত্যকায় পেট্রোল পয়েন্ট ১৪-এ সংঘর্ষস্থলে কেবল একটি তাঁবু ছিল। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, সেই এলাকায় রীতিমতো কাঠামো তৈরি করে সেনাঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে চিন। বুলডোজ়ার, আর্থ মুভার  ব্যবহার করে পাহাড়ের দেওয়াল কেটে রাস্তা বানানো হয়েছে। তৈরি হয়েছে সেনাদের থাকার জায়গা। বসেছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র। পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ পর্যন্ত যাতে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যায়, তার জন্য নদীর উপরে বানানো হয়েছে কালভার্টও। উপগ্রহচিত্র স্পষ্ট করেছে— এই ছবি কেবল পয়েন্ট ১৪-র নয়, গালওয়ান উপত্যকার বড় অংশ জুড়েই দীর্ঘমেয়াদি নজরদারি পোস্ট বানানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চিন। দু’পক্ষের বৈঠকের পরেও তাতে কোনও ছেদ পড়েনি। 

আরও পড়ুন: চিনের দাদাগিরি সহ্য করছে তাইওয়ানও, ভারতীয় সেনাকে প্রকাশ্যে সমর্থন এবার তাই মিডিয়ার

চিন-ভারতের বিবাদ মূলত সীমান্ত নিয়েই। চিনের এমন প্রায় কোনও প্রতিবেশী নেই, যে দেশের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে চিনের বিরোধ নেই। কাশ্মীর তথা লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ— এতগুলি রাজ্যকে ছুঁয়ে রয়েছে চিনের সীমান্ত। চিন ও ভারতের মধ্যে যে বিতর্কিত সীমানা রয়েছে, তা হল এলএসি। এটি তিনটি এলাকায় বিভক্ত, পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব লাদাখ। কোনটি আসল সীমানা তা নিয়ে এই এলাকায় দ্বন্দ্ব রয়েছে। ৩,৪৮৮ কিলোমিটারের এই রাস্তা ধরেই সমস্যা রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। দিল্লির দাবি এই এলাকা ভারতের। অন্যদিকে, চিনের দাবি ২ হাজার কিলোমিটারই তাদের প্রাপ্য।

জানা যাচ্ছে  গালওয়ান সংঘর্ষ পরবর্তী পর্যায়ে  লাদাখ নিয়ে শান্তি আলোচনা চালাতে থাকলেও চিন অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ বরাবর এলএসি-তে সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। সেনা ছাড়াও যুদ্ধ সরঞ্জামও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় চিনের পক্ষ থেকে আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ভারতও এই তিনটি সেক্টরে সেনা বাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

'জঙ্গিরা ধরা তো পড়ছে, তাহলে আর চিন্তার কি আছে?' হাসতে হাসতে উত্তর রচনার | Rachna Banerjee News
Suvendu Adhikari Live : বিধানসভার বাইরে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী, সরাসরি | Bangla News
'মমতা পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি রোহিঙ্গা ঢুকিয়েছে', বিস্ফোরক মন্তব্য Suvendu Adhikari-র
'তৃণমূলের শান্তির ছেলেরা প্রমাণ লোপাট করেছে' | Suvendu Adhikari | #shorts #suvenduadhikari #rgkar
এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News